অসমের নগাঁও জেলায় রয়্যাল বেঙ্গলের হামলায় মৃত্যু হল এক কৃষকের। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক কৃষক। শুক্রবার ভোরে নোনই ভেলাই গাঁওয়ে কৃষি জমিতে যাওয়ার সময় আচমকা একটি বাঘ তাদের উপর হামলা চালায়। তবে বাঘটি কৃষকের দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে যান অন্যান্য কৃষকরা। তড়িঘড়ি তারা কৃষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বন দফতর।
আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে গেল বাঘ, সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু
নগাঁও–এর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডিএফও) কদম সুহাস তারাচাঁদ বলেন, স্থানীয়রা ঘটনাটি তাদের জানান। এরপর বন কর্মকর্তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।তিনি জানান, মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, তারা এর আগেও এই এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করেছিলেন। তারপরেই তারা জঙ্গলের কাছাকাছি কৃষি জমিতে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখছেন। স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা একা যাই না এবং সেখানে যাওয়ার সময় আমরা শব্দ করি। পালোনের চিৎকার শুনে আমরা সেখানে ছুটে যাই এবং আমাদের দেখে বাঘটি তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে, দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। নগাঁও পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) নবনীত মহন্ত জানান, বাঘের আক্রমণে আহত আরেক ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন বিভাগের একটি দল পুলিশের সহায়তায় বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
এদিকে, নগাঁও জেলা প্রশাসক নরেন্দ্র কুমার শাহ শুক্রবার সন্ধ্যায় ননোই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। একটি আদেশে, , জেলা শাসক জানিয়েছেন, একটি বাঘ লোকালয়ে চলে এসেছে। সংশ্লিষ্ট বাঘের আক্রমণে নোনোই ভেলাই গাঁও গ্রামে একজন মারা গিয়েছেন এবং একজন আহত হয়েছেন। সেই কারণে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং বনরক্ষীদের একটি দল মোতায়েন করা ছাড়াও আসাম বন সুরক্ষা বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। বাঘটিকে ধরার জন্য বন বিভাগ সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।