ওড়িশার কোরাপুট জেলায় স্টেট ব্যাঙ্কের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে কাজ করতেন শেখর কুলদিপীয়া নামে এক ব্যক্তি। ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি মেসেঞ্জার হিসাবে কাজ করতেন। গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি লকার থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ব্যক্তির চুরির ছক জেনে হতবাক পুলিশ কর্তারাও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ৩০শে নভেম্বর কিছু কাজ থাকার কথা বলে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে ব্যাঙ্কের সার্ভার রুমের ভেতর তিনি লুকিয়ে পড়েন। এরপর রাত ৮টা নাগাদ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে সকলে বাড়ি চলে যান। তখনই রাত গভীর হলে ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের রুমে গিয়ে লকারের চাবি নেন। এরপর স্ট্রং রুম থেকে ২১ প্যাকেট সোনার গহনা চুরি করেন। এরপর টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। পরের দিন ব্যাঙ্ক খুললে তিনি কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে নভেম্বর মাসে ঘটনা হলেও ১৪ই জানুয়ারি বিষয়টি জানতে পারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তার কাছে থেকে সোনার গহনার পাশাপাশি ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকাও পুলিশ পেয়েছে। কিন্তু ওই রাতে লকার খোলা হলেও কেন সাইরেন বাজেনি সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে কী সেখানেও কলকাঠি নেড়েছিলেন শেখর?