প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২ অনুসারে এবার পাওয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাপ প্রতারণা মামলায় ৫৯.৪৪ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সাগর ডায়মন্ডস, আরএইচসি গ্লোবাল এক্সপোর্টস ও তাদের সহযোগী সংস্থা ও বৈভব দীপক সিংয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ, স্পেশাল সেল দিল্লি পুলিশ, কর্ণাটক পুলিশের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট এই বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এবার জেনে নিন পাওয়ার ব্যাঙ্ক অ্য়াপ প্রতারণা মামলাটা আসলে কী?
২০২১ সালের জুন মাস। গুগল প্লে স্টোরে একটি ভুয়ো অ্যাপ এসেছিল। সেই ভুয়ো অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রতারিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক জনকে গ্রেফতার করে। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রলোভন দেখানো হত এখানে বিনিয়োগ করলে বিপুল টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।
বিনিয়োগ করলে ৫-১০ শতাংশ ফেরত পাওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখানো হত। কার্যত চেনা ছকেই কাজ করত তারা। একবার কেউ বিপুল বিনিয়োগ করে দিলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত ওই সংস্থা। এমনকী তাদের অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দিত তারা। মূলত মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত তারা। এটাই তাদের মূল ছক ছিল। পাওয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাপ, টেসলা পাওয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাপ, এজপ্ল্যান নামে পরিচিত ছিল এই অ্যাপগুলি।
তবে তদন্তে নেমে ইডির কাছে বিস্ফোরক তথ্য আসে বলে খবর। চিনের কিছু লোকজন সেল কোম্পানি খুলে এখানে কলকাঠি নাড়ছে। তারা ভারতীয় পেশাদারদেরও কাজে লাগাচ্ছে। এরপর এখান থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। বিপুল অঙ্কের টাকা তারা বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে খবর। এরপর তাদের আর কোনও খবর মিলছে না। কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে তারা। এবার তাদের নাগাল পেতে খোঁজ নিচ্ছে ইডি। এর পেছনে কোন চক্র কাজ করছে সেটা দেখা হচ্ছে।
তল্লাশিতে নেমে ইডি ১০.৩৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই সঙ্গেই ১৪.৮১ কোটিও ফ্রিজ করা হয়েছে।