মুম্বই-আমদাবাদ হাইস্পিড রেল প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হল ভারত ও জাপান। অদূর ভবিষ্যতেই একাধিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক ভিত্তিতে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ এবং আদানপ্রদানের শর্তেও ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেছে দু'দেশ ।
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগা এবং নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে প্রথম আলাপচারিতায় উভয় বিষয়ই প্রাধান্য পেয়েছে। সুগা জানান, তিনি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে বদ্ধপরিকর। এছাড়াও মুক্ত ও বাধাহীন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করবেন।
জাপান আয়োজিত চতুর্ভুজ নিরাপত্তা আলোচনা বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের দিনকয়েক আগে সুগা আরও জানিয়েছেন, জোটবদ্ধভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেবেন। আগামী মাসের গোড়ার দিকে টোকিয়োয় কোয়াডের (ভারত, জাপান ছাড়াও আছে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা) বৈঠক হওয়ার কথা আছে। রাষ্ট্রসংঘ ও উত্তর কোরিয়ার সংক্রান্ত বিষয়েও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন সুগা।
শিনজো আবে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর সদ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন সুগা। গত তিন বছর ধরে কোয়াডকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েছিলেন আবে।
এদিকে নাম গোপন রাখার শর্তে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলির ফলে সেই প্রকল্প কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ৫০৮ কিলোমিটারের সেই প্রকল্পের জন্য ০.১ শতাংশ হারে ৮০ ভাগ ঋণ দিয়েছে জাপান। ঋণ পরিশোধের উপর ১৫ বছরের মোরেটরিয়াম দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও ২০২৮ সালের শেষ লগ্নে প্রকল্প সম্পন্ন হবে বলে আপাতত অনুমান করা হচ্ছে। গত বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সেই বিলম্বের জেরে প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে দু'দেশের কৌশলগত সম্পর্ক দারুণভাবে এগিয়েছে। পারস্পরিক বিশ্বাস এবং মূল্যবোধের ভিত্তিতে নয়াদিল্লি ও টোকিয়োর সেই সম্পর্ককে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।