বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কোনারকের সূর্যমন্দিরের চাকার মাহাত্ম্য কী?‌ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কৌতূহল পূরণ মোদীর‌

কোনারকের সূর্যমন্দিরের চাকার মাহাত্ম্য কী?‌ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কৌতূহল পূরণ মোদীর‌

জো বাইডেনকে ওই চাকার মাহাত্ম্য বোঝান নরেন্দ্র মোদী। (HT_PRINT)

ত্রয়োদশ শতকে তৈরি ওড়িশা রাজা প্রথম নরসিংহদেবের আমলে তৈরি হয়েছিল এই সূর্য মন্দিরের চাকা। জো বাইডেনের পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মিশর, আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সহ বহু বিদেশে অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

জি–২০ সম্মেলনকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাজধানী নয়াদিল্লিতে। প্রগতি ময়দানে ‘‌ভারত মণ্ডপমে’‌ বসেছে এই শীর্ষ সম্মেলন। আজ, শনিবার সকালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা–সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা পৌছন সেখানে। নিজে উপস্থিত থেকে সকলকে সেখানে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কোনারকের সূর্যমন্দিরের বিখ্যাত চাকার প্রতিরূপ নজর কাড়ে সকলের। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও নজর এড়ায়নি। কৌতূহল প্রকাশ করেন জো বাইডেন। তখন তাঁকে ওই চাকার মাহাত্ম্য বোঝান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পিছনে আঁকা কোনারকের সূর্য মন্দিরের চাকাকে সাক্ষী রেখে রাষ্ট্রনেতাদের প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানান।

এদিকে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন ভারতের নেতৃত্বে হওয়ার থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‌ওড়িশার মহৎ সংস্কৃতি এবং হেরিটেজ গর্বের জায়গা খুঁজে পেয়েছে জি–২০ সম্মেলনে। এই কোনারক চক্র একটি স্থাপত্যের বিস্ময়, যা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সভ্যতা, স্থান, প্রবহমানতা এবং ভবিষ্যতের ধারণা। প্রধানমন্ত্রী মোদী সুন্দরভাবে সেই মাহাত্ম্য বুঝিয়েছেন জো বাইডেনকে।’‌ ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে কোনারক শহরে এই মন্দির। এটার আকৃতি রথের মতো। ভারতের সাতটি বিস্ময়ের অন্যতম এই মন্দির বিশ্বের কাছে ঐতিহ্যবাহী স্থান।

অন্যদিকে ওড়িশা এবং দ্রাবিড় স্থাপত্যরীতির মেলবন্ধনে নির্মিত মন্দিরটি ধূসর বেলে পাথরে বিশাল একটি রথের আকারে গড়ে তোলা হয়েছে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা সূর্যদেবের বিশাল রথ,তার সামনে রয়েছে সাত জোড়া ঘোড়া। সাতটি ঘোড়া মানে সপ্তাহের সাত দিন। ১২ জোড়া বিশাল চাকার উপর মন্দিরটি নির্মিত। ২৪টি চাকা মানে চব্বিশ পক্ষ। ২৪টি চাকা একেকটা সূর্য ঘড়ি। প্রত্য়েকটি চাকাতেই রয়েছে ২৪টি স্পোক। যা কিনা প্রতি ঘণ্টার এবং সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। জাতীয় পতাকার মধ্যেও তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সমাজের প্রগতির সাক্ষ্য বহন করে এই কোনারক চক্রটি।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দল, লোকসভা নির্বাচন কি এগিয়ে আসবে?‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ দু’‌দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ত্রয়োদশ শতকে তৈরি ওড়িশা রাজা প্রথম নরসিংহদেবের আমলে তৈরি হয়েছিল এই সূর্য মন্দিরের চাকা। জো বাইডেনের পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মিশর, আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সহ বহু বিদেশে অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এবারের জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের পুস্তিকায় ভারতকে ‘‌গণতন্ত্রের জননী’‌ বলে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কোনারকের সূর্যমন্দিরের ওই চাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নকশায়।

বন্ধ করুন