মুসলিম ছাত্রীরা কলেজে হিজাব পরে এসেছেন। আর এর প্রতিবাদে একদল পড়ুয়া কলেজে এলেন গেরুয়া স্কার্ফ জড়িয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বলগড়িতে অবস্থিত একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজে। প্রাথমিক ভাবে গেরুয়া স্কার্ফ পরা পড়ুয়াদের দাবি মেনে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাস না করতে বলেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, যে যা খুশি পরে আসতে পারে কলেজে। তবে এই নির্দেশিকা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রিন্সিপাল অনন্ত মূর্তি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি অভিভাবক-শিক্ষক সভা আহ্বান করছি। ১০ জানুয়ারির সেই বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে।’ তিনি জানান, তিন বছর আগে একই ধরনের পরিস্থিতিতে এমনই এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নিয়েছিল সেই সময়।
অনন্ত মূর্তি বলেন, ‘সবকিছু ঠিকই চলছিল। তবে আচমকা গলকাল ক্লাসে কয়েকজন পড়ুয়া গেরুয়া রঙের স্কার্ফ পরে উপস্থিত হয়। অন্য পড়ুয়াদের পোশাক নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তারা এই কাজ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কলেজে কেউ হিজাব পরে আসবে না। তবে কয়েকদিন ধরে কয়েকজন পড়ুয়া কলেজে হিজাব পরে আসতে শুরু করায় এর প্রতিবাদ করে অপর একদল পড়ুয়া।’ তিনি জানান, মুসলিম ছাত্রীদের কলেজের তরফে অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কলেজে তারা হিজাব না পরে। তবে তারা সেই অনুরোধ মানেনি। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ছয় ছাত্রীকে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি হিজাব পরায়। তাছাড়া ঊর্দূতেও কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি বলে অভিযোগ।