প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর শুরু হওয়ার কথা ছিল কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের। কিন্তু সকাল থেকেই দিল্লির দিকে অভিযান শুরু করলেন কৃষকদের একাংশ। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নাগাদ খবর পাওয়া যায়, সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের মিছিল। যে রাস্তা মিছিলের নির্ধারিত রুটে ছিল না।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন ।যে রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর তাঁদের মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি কৃষকরা। এক আধিকারিক বলেন, ‘কিন্তু কয়েকটি কৃষক সংগঠন পিছিয়ে যায়নি। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে যাচ্ছেন কৃষকরা।’ ব্যারিকেড ভাঙলেও পুলিশের উপর পুষ্পবর্ষণ করছিলেন চাষিরা। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সিংঘু সীমান্তের থেকে আগত একটি মিছিল ইতিমধ্যে দিল্লির সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে পৌঁছে গিয়েছে। তারপর তা ডিটিইউ-শাহবাদ, এসবি ডেয়ারি-দারওয়াল-ভাবনাওয়া টি পয়েন্ট-কাঞ্জাওয়াল চৌক- খারখোদা টোল প্লাজার দিকে যাবে।
বিক্ষোভরত ৪১ টি কৃষক সংগঠনের মাথা সংযুক্ত কিষান মোর্চার এক নেতা জানান, কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙেছেন। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক বিক্ষোভে নেতৃত্ব প্রদানকারী ওই সদস্য জানিয়েছেন, পুলিশের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সোমবারই কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি জানিয়েছিল, দিল্লির অন্যতম ব্যস্ত আউটার রিং রোডে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই রেশ ধরে মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনের সভাপতি সতনম সিং পান্নু জানিয়েছেন, পুলিশের নির্ধারিত রুট মেনে চলবেন না। তিনি বলেন, ‘আউটার রিং রোডে আমরা ট্র্যাক্টর মিছিল করব। ব্যারিকেেড সরিয়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি।’
সেই মিছিলের জন্য ইতিমধ্যে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আইটিও, যমুনা ব্রিজ-সহ নয়াদিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির ব্যারিকেড ঘেরা আছে। পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীপক যাদব জানিয়েছেন, গাজিপুর সীমান্তে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের সময় নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তারইমধ্যে গাজিপুর সীমান্তে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশ।