গুজরাটের দেদিয়াপাড়া তালুকে ছিল উপজাতিকেন্দ্রিক একটি অনুষ্ঠান। বিশ্ব উপজাতি দিবস উপলক্ষ্যে তা আয়োজন করা হয়েছিল। বুধবার সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন গুজরাটের কৃষি ও পশুকল্যাণমন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল। এই অনুষ্ঠানেই আদিবাসীদের একটি প্রথায় অংশ নিয়ে ‘অজান্তে’ দেশি মদ পান করে ফেলেন গুজরাটের মন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল। পরে তিনি জানান যে গোটা ঘটনাই তিনি অজান্তে ঘটিয়ে ফেলেছেন।
এক ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি পাতার তৈরি কাপে রাঘবজি প্যাটেলকে ওই পানীয় তুলে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, তার আগে ওই পানীয় ভূমি দেবতাকে অর্পণ করতে দেখা যায় আদিবাসী প্রথায়। সেটিকে ভূমিদেবতার 'চরণামৃত' মনে করেন মন্ত্রী। তারপরই ওই পানীয় গুজরাটের মন্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়। ওই পাতার তৈরি কাপে কী রয়েছে, তা না না জেনেই গুজরাটের মন্ত্রী রাঘবজি গলায় ঢেলে ফেলেন বলে পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এই পানীয়দে দেশী মদ ছাড়াও ছিল, বন্য গাছের পাতা, চালের গুঁড়ো, নারকেল। তা সবুজ একটি বোতলে রাখা ছিল বলেও দেখা যায়। ওই অনুষ্ঠানে গুজরাটের মন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল ছাড়াও ছিলেন দেদিপাড়ার বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা মোতিলাল বাসবা, প্রাক্তন নর্মদা জেলা বিজেপি প্রধান শঙ্কর বাসবা। এছাড়াও বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতে থাকে। প্রসঙ্গত , গুজরাটে মদ্যপান ঘিরে কড়া বিধি রয়েছে। সেখানে খোদ রাজ্যের মন্ত্রীকে এহেন দৃশ্যে দেখা যেতেই গুজরাটের রাজনীতিতে তোলপাড় হয়। এদিকে, ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রী যখন গলায় ওই পানীয় ঢালছেন, তখন বাকি নেতারা তাঁকে সাবধান করেন যে, ওই পানীয় পান করার নয়, বরং অর্পণ করার জন্য দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে রাঘবজি বলছেন,'আপনাদের এটা আগে বলা উচিত ছিল।'
এরপরই এই দৃশ্য ঘিরে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জিজ্ঞাসা করেন। তখনই রাঘবজি বলেন, ‘ আমি আদিবাসী রীতি রেয়াজের সঙ্গে সেভাবে পরিচিত নই। এটা এখানে আমার প্রথম যাত্রা। আমাদের অনুষ্ঠানে আমাদের চরণামৃত দেওয়া হয়। যা আমরা পান করি। আমি ভেবেছি এই পানীয়ও সেরকমই। এটা আমার অজান্তে হয়ে গিয়েছে।’ এদিকে মোতিলাল বাসবা বলছেন, আদিবাসী প্রথায় এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর আমরা যেকোনও শুভ অনুষ্ঠানে ভূমিদেবতাকে দেশি মদ অর্পণ করি। যাঁরা আদিবাসী নন, তাঁরা মনে করেন এটি চরণামৃত বা পঞ্চামৃত।'