আইএএস নিঃসন্দেহে অনেকের কাছেই স্বপ্নের চাকরি। দিনরাত পরিশ্রম করে তবে আইএএস, আইপিএসের যোগ্যতায় পৌঁছতে হয়। আর মাত্র ২১ বছর বয়সেই সেই স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন আনসার শেখ। বর্তমানে তাঁর বয়স ২৮ বছর।মহারাষ্ট্রের এক অটো চালকের ছেলে আনসার শেখ বর্তমানে আইএএস আধিকারিক। জীবনের নানা ওঠাপড়া দেখেছেন তিনি।
আর ছাত্রজীবনে এই আনসারকেই পড়াশোনা ছাড়িয়ে দিয়ে চেয়েছিলেন তাঁর অভিভাবকরা। আসলে সংসারের দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াইতে বার বার পরাজিত হচ্ছিল ওই পরিবার।এমনকী একবার আনসারের বাবা স্কুলে গিয়ে বলে এসেছিলেন ছেলেকে পড়াশোনা ছাড়িয়ে দিতে চান তিনি। সেই সময় শিক্ষক তাঁকে বুঝিয়ে কোনওরকমে আনসারের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন। বন্ধুরাও সেই সময় বলেছিল, আনসার ভালো ছেলে। ওর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া দরকার।
তবে আনসারের দাদা অবশ্য সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা ছেড়ে গ্য়ারাজে কাজ করা শুরু করে দেন।তবে আনসার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।
এরপর ইউপিএসসির জন্য় তিনি যখন তৈরি হচ্ছিলেন তখনও তিনি ১২ ঘণ্টা কাজ করতেন পেট চালানোর জন্য। প্রথমবারই তিনি ৩৬১তম স্থান পেয়েছিলেন। দেশের কনিষ্ঠতম আইএএস তিনি।
আনসার শেখের পরামর্শ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সগুলি ভালো করে পড়ুন। সিলেবাসটা পুরোটা শেষ করতে হবে। ইউপিএসসি প্রিলি ও ইউপিএসসি মেইনস সিলেবাসের ব্যাপারটি ভালো করে বুঝতে হবে। যদি এনসিআরটির বই না পান তবে অনলাইনে বই পেয়ে যাবেন।