উত্তরপ্রদেশে ফের বাঁদরের তাড়া খেয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। এই নিয়ে গত তিন দিনে বানরের তাড়া খেয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। বাড়ির ছাদে শিশুকে একা দেখে একদল বাঁদর তার ওপর হামলা চালায়। শিশুটি প্রাণভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলে দোতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। যার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় শিশুটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার সিরসি শহরে।
আরও পড়ুন: অন্ত্র ছিঁড়ে ফেলল বাঁদরের দল, ১০ বছরের বালকের মৃত্যু
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম কীর্তি (৬)। শিশুটি তার দাদার সঙ্গে বাড়ির দোতলার বারান্দায় বসে ছিল। হঠাৎ বাঁদরের দল তাকে তাড়া করে। পরে সে ছাদ থেকে নীচে মাটিতে পড়ে যায়। তার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, কীর্তি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। বাড়ির ছাদে সে তার দাদা চন্দ্র পালের সঙ্গে গল্প করছিল। তখন বাড়ির সবাই নিচে কাজ করছিল। হঠাৎ তারা কীর্তির চিৎকার শুনতে পান। ছুটে ছাদে পৌঁছানোর আগেই বাড়ির সকলে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন কীর্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুর বাবা কমল দীপ,
পেশায় একজন কৃষক। তিনি জানান, ’আমার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ির দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং ছাদ থেকে পড়ে যায়। সে গুরুতর আহত হওয়ায় আমরা কিছুই করতে পারিনি।’ তার অভিযোগ, এলাকার সবাই বাঁদর ও বিপথগামী কুকুরের আতঙ্কে ভুগছেন। কিন্তু, প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবার ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠাতে রাজি হয়নি। তবে তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা।শুক্রবার শাহজাহানপুরের রোজা এলাকায় বাঁদরের একটি দলের হামলায় সোমতি দেবী (৪০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি তার বাড়ির ছাদে খাবার খাচ্ছিলেন। সেই সময় বাঁদরের দল তার ওপর হামলা চালায়। পালাতে গিয়ে তিনি ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে একই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি পিলি ভীত গ্রামের ৫০ বছর বয়সি এক কৃষক বাঁদরের দলের হামলা থেকে বাঁচতে চাঁদের প্রথম তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে ৬ জানুয়ারি কাসগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ২৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি বাঁদরের কাছ থেকে ব্যাগ উদ্ধার করতে গিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েছিলেন। সেই সময় অসাবধানতাবশত ২৫,০০০ ভোল্টের ওভারহেড তারের সংস্পর্শে আসেন এবং মারা যান।