চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ বহুদিনের। সেই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে আলোচনার প্রস্তাব পেশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো বেশ কিছু দেশ। তবে সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভাটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। এমনকি ইউক্রেনও এই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। ৪৭ সদস্যের কমিশনে ১১টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৭ জন সদস্য দেশ। ১৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। এই আবহে চিনের বিরুদ্ধে পেশ করা এই আলোচনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।
ভারত, ইউক্রেনের পাশাপাশি ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, মালায়েশিয়ার মতো দেশগুলি চিনের বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। এদিকে উইঘুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা প্রস্তাবের পক্ষে এদিন ভোট দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চেক প্রযাতন্ত্র, কানাডা, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হন্ডুরাস, জাপান, লিথুনিয়া, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৭টি দেশ। এদিকে পাকিস্তান, কাজাখস্তান, ক্যামেরুন, কিউবা, আইভোরি কোস্ট, গ্যাবন, ইন্দোনেশিয়া, নামিবিয়া, নেপাল, কাতার, উজবেকিস্তান, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ভেনেজুয়েলাসহ ১৯টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
এদিকে এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ভারতের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পেশ করা হয়নি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজের মেয়াদ শেষের কয়েক মিনিট আগে নাটকীয় ভাবে উইঘুর সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আজকের এই আলোচনা প্রস্তাব পেস করা হয়েছিল।
চিনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিননিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর ‘অত্যাচার’ নিয়ে সরব পশ্চিমি দেশগুলি। এদিকে চিনের তরফে জিনজিয়াং প্রদেশে ‘ক্যাম্প’ থাকার কথা স্বীকার করা হলেও বেজিংয়ের দাবি, সেগুলি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের জন্য স্থাপিত। এবং কট্টরপন্থাকে দূরে রাখতে এই ক্যাম্পের প্রয়োজন আছে বলে দাবি চিনের। এই পরিস্থিতিতে উইঘুর মুসলিম নিয়ে চিনের বিরোধিতার পথে হাঁটল না ভারত। মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ‘অর্গনাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনে’র ১২টি দেশও চিনকে না চটানোর সিদ্ধান্ত নেয় উইঘুর ইস্যুতে।