ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৫০তম ডিজি পর্যায়ের বৈঠক শেষ হল শনিবার। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে এই বৈঠকে ভারতের তরফে ছিলেন বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা। এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করার পর কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত বা বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্নরকম অবৈধ পাচার ফি–বছর হয়ে থাকে। তার মধ্যে যেমন মাদক রয়েছে, তেমনই পাচার করা হয় ভারতীয় জাল নোট, গরু–সহ বিভিন্ন গবাদি পশু, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ইত্যাদি। মানুষ পাচারেরও ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোনওরকম পাচারের খবর সূত্র মারফত পাওয়া গেলে তা বিজিবি এবং বিএসএফ দু’পক্ষই তাদের সংশ্লিষ্ট মাধ্যম বা চ্যানেল দ্বারা একে–অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বিদ্রোহী দল–সহ অন্যান্য সমাজবিরোধী কার্যকলাপের তথ্য বিএসএফ যেমন বিজিবি–কে জানাবে, তেমনই বিএসএফ–কে জানাবে বিজিবি।
বৈঠকে বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, সীমান্তে অপরাধীদের মৃত্যু বা গ্রেফতারির সময় তারা কোন দেশের বাসিন্দা তা কখনওই দেখা হয় না। তাদের একটাই পরিচিতি থাকে যে তারা অপরাধী। যখন বিপুল সংখ্যক দুষ্কৃতী ঘেরাও করে থাকে বা তাদের জীবন বিপন্ন হয় সে সময়ই বিএসএফ জওয়ানরা কেবল আত্মরক্ষার জন্য প্রাণঘাতী নয় এমন আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা গুলি চালায়। বিএসএফের ডিজি এদিন আশ্বাস দিয়েছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে সীমান্তরক্ষীর গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। সীমান্ত এলাকায় লোকজনকে সতর্ক করতে বিভিন্ন সচেতনতা শিবিরের আয়োজনও করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে জোর দেওয়ার চেষ্টাও করা হবে।
মাঝেমধ্যেই এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পা রাখেন মানসিক প্রতিবন্ধীরা। এবং দিনের পর দিন সেই সংখ্যা বাড়ছে। এ ব্যাপারে রাকেশ আস্থানা বলেন, এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই প্রথমে কোনও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার পর তিনি কোন দেশের বাসিন্দা তা খতিয়ে দেখা উচিত। তার পর নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াটাই শ্রেয়।