১৯৪৭ সালের বিভাজনে দুই দেশ বিভক্ত হয়ে গেলেও, এটি বন্ধুদের হৃদয়কে কিন্তু আলাদা করতে পারেনি। তারই প্রমাণ মিলেছে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমিন চোহান, পাকিস্তানের অ্যাচিসন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক, ভারতে তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে একটি খুব সুন্দর উপহার পেয়েছেন এদিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এত বছর পর এই উপহার দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন আমিন চোহান। বর্তমানে এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। ভিডিয়োটি শেয়ার করে একজন ভ্লগার এদিন নেটজনতার মন জয় করেছেন।
- কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োতে
এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। কোনও বন্ধুত্ব ঠিক কীভাবে এবং কতটা অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে, তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে এই ভিডিয়োতে। আমিন চোহান যখন এই উপহার দেখেছিলেন, তখন তিনিও তাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আমিনের বন্ধু ভারতে অবস্থিত তাঁর বাবার বাড়ির দরজা পাঠিয়েছিলেন আসলে। সেই দরজা দেখেই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ আমিন। ভারত থেকে এটি পাকিস্তানে পৌঁছে দিতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে দুবাই তারপর এই দরজা করাচিতে আনার পর অবশেষে এটি লাহোরে চোহানের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
ভিডিয়োটির ক্যাপশনেই লেখা ছিল যে, প্রফেসর আমিন চোহান ভারত থেকে তাঁর বন্ধু পলবিন্দর সিংয়ের কাছ থেকে এই বিশেষ উপহার পেয়েছেন। আমিন চৌহানের বাবার বাড়ি বটতলার ঘোমান পিন্ডলায়। তাঁর বন্ধু তাঁকে এই বাড়িরই একটি পুরনো দরজা পাঠিয়েছেন। অগণিত স্মৃতি ও ইতিহাসের সাক্ষী বহনকারী এই দরজাটি প্রথমে মুম্বই, তারপর দুবাই এবং অবশেষে লাহোরে দীর্ঘ ভ্রমণের পর আমিন চোহানের বাড়িতে পৌঁছেছে। এরপর আমিন চোহান জরাজীর্ণ পুরনো দরজার দিকে তাকিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আসলে ১৯৪৮৭ সালের বিভাজন দুটি দেশকে বিভক্ত করেছিল ঠিকই কিন্তু কেউই পঞ্জাবি জনগণের হৃদয়কে আলাদা করতে একেবারেই পারেনি।
- নেটিজেনরা কী বলছেন
ক্লিপে বন্দি আবেগের মুহূর্তটি ইতিমধ্যেই প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ভিডিয়োটি পছন্দ করেছেন প্রায় ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বলা বাহুল্য, ভিডিয়োটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন নেটিজেনরাও। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, অসাধারণ, শুধুমাত্র পঞ্জাবিরাই এই দুঃখ বুঝতে পারে। অপর একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই ভিডিয়োটি খুবই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, যেভাবে ব্যক্তি দরজায় চুম্বন করছিলেন, আমি ভিডিয়োটি দেখার পর কেঁদে ফেলেছিলাম।