বুধবার মার্কিন সংসদে ইলেকটরাল কলেজের সংশাপত্রের সময় আচমকা ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালায়। পুলিশদের হতচকিত করে তারা সংসদে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে। ক্যাপিটল হিলের বাইরে যারা ভোটে কারচুপি হয়েছিল বলে প্রতিবাদ করছিল, তার মধ্যে একজনের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিল। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছেন এক ব্যক্তি যার দাবি তিনি ও অন্যরা গিয়েছিলেন ভোটে কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। সেই ব্যক্তির নাম ভিনসেন্ট জেভিয়ার। আদপে কেরালার এই মানুষ বহুদিন ধরেই মার্কিন মুলুকে আছেন। রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক তিনি। বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী টুইটারে অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই ব্যক্তি।
শশী থারুর ও তাঁর বন্ধুদের নিঃশব্দ সমর্থন ছিল কিনা, সেটাও জিজ্ঞেস করেন তিনি। জবাবে থারুর বলেন যে তিনি দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে দেশের পতাকা থাকা কোনও ভাবেই মেনে নেন না।
প্রসঙ্গত, থারুরের সঙ্গে জেভিয়ারের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তারপরেই তড়িঘড়ি এই সাফাই দেন কংগ্রেস সাংসদ। তার আগের দিন বরুণ গান্ধী প্রথম এই ভিডিওটি টুইট করেন যেখানে এক ভারতীয় পতাকা দেখা যায় বাকি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। তখন থারুর কিছুটা শ্লেষের সঙ্গে বলেন যে অনেক ভারতীয় আমেরিকায় আছেন যারা ট্রাম্প সমর্থকদের মানসিকতায় বিশ্বাসী। তাদের কাছে পতাকাটি মর্যাদার প্রতীক নয় একটি অস্ত্র ও যাদের সঙ্গে তাদের মতের মিল হয়না, তাদেরকে দেশবিরোধী তকমা দেওয়া হয়। থারুরের ইঙ্গিতটা কোন দিকে ছিল, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে ভিনসেন্ট জেভিয়ার পালাথিঙ্গল ওরফে ভিনসন পালাথিঙ্গল আদতে কোচির বাসিন্দা। এখন মার্কিন মুলুকে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সে থাকেন তিনি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ওখানে নিজের ব্যবসা আছে তাঁর। বর্তমানে আমেরিকায় স্থিত সবচেয়ে বড় মালয়ালি সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি। রিপাবলিকান দলের সমর্থক এই ব্যক্তি বামপন্থী রাজনৈতিক মতমাতকে তুলোধোনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বর্তমানে মার্কিন নাগরিক ভিনসেন্ট জেভিয়ারের দাবি যে তিনি বাইরে থেকেই প্রতিবাদ করেছিলেন। সংসদ ভবনের ভিতর গিয়ে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করেন নি।