ঘটনা ২০১৮ সালের। অস্ট্রেলিয়ার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের তোয়া কর্ডিংলি সেদিন নিজের কুকুরকে নিয়ে বিচের ধারে বেড়াতে যান। পরদিন তাঁর বাবা তোয়ার দেহ দেখতে পান বালিচাপা অবস্থায়। কাছেই বাঁধা ছিল কুকুর। ঘটনা পুলিশ জানতেই শুরু হয় তদন্ত। চলে অভিযুক্তের খোঁজ। চার বছর পর ঘটনায় অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজবিন্দর সিংকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে রাজবিন্দরের পরিবার। রয়েছে তার স্ত্রী, সন্তানরা। এদিকে, তোয়ার মৃত্যুর ২ দিন পর ভারতে চলে আসে রাজবিন্দর। পরিবার বলছে, গোটা ঘটনা কাকতালীয়। পরিবারের দাবি, রাজবিন্দর খুন করার লোকই নয়। এদিকে, কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস ও অস্ট্রেলিয়ান ফেডারাল পুলিশ জুটি বেঁধে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিযুক্ত রাজবিন্দরকে গ্রেফতার করতে দিল্লি আসে। এতে সহায়তা করে ইন্ডিয়ান ল এনফোর্সমেন্ট। জানা গিয়েছে, রাজবিন্দরের বিরুদ্ধে ২৪ বছরের তোয়াকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ায় নার্স হিসাবে কর্মরত ছিল রাজবিন্দর। প্রশ্ন উঠছে ৪ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিচে কী ঘটেছিল? কী এমন কাণ্ড হয়েছিল, যার জন্য রাজবিন্দরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে? অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বলছে, রাজবিন্দরকে সম্ভবত ভারতীয় আইন মেনেও আদালতে উঠতে হতে পারে। তবে তার বিচার অস্ট্রেলিয়ার আদালতেও হবে।
এর আগে, রাজবিন্দরকে খুঁজে বের করতে মিলিয়ন ডলারের ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়ার মিনিস্টার মার্ক রায়ান। রাজবিন্দরের ওপর ৬৩৩০০০মার্কিন ডলারের 'পুরস্কার' ঘোষিত রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দেয় যে, যে রাজবিন্দর সম্পর্কে তথ্য দিতে পারবে, তাকে এই টাকা দেওয়া হবে 'পুরস্কার মূল্য' হিসাবে। রায়ান বলছেন, এই গোটা মামলার সমাধানে শতাধিক অফিসার অংশ নিয়েছিলেন। নিয়োজিত হয়েছে শতাধিক ঘণ্টা। সব মিলিয়ে যাবতীয় পর্বের পর শেষমেশ ধরা পড়েছে অভিযুক্ত। এরপর আইনি পদক্ষেপ কোনপথে যায়, সেদিকে তাকিয়ে তোয়ার পরিবারও।