কিছুদিন আগেই দেশের ধনকুবেরদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে আদানিকে পেছনে ফেলে একেবারে এক নম্বরে মুকেশ আম্বানি। এবার 'Forbes List of India's 100 Richest 2023' প্রকাশিত হয়েছে।
সেই তালিকা অনুসারে জয়া আলুক্কাস রয়েছেন ৫০তম স্থানে। গতবার তিনি ৬৯ তম স্থানে ছিলেন। সেটা থেকে টপকে তিনি ৫০ তম স্থানে চলে আসেন। মূলত জুয়েলারির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। একেবারে ছোট্ট ব্যবসা থেকে তাঁরাই এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জুয়েলারি ব্যবসায় পরিচিত নাম।
২০২৩ আর্থিক বছরে তাঁর টার্নওভার ১৪,৫১৩ কোটি টাকা। ভারতেই তাঁর মোট লাভের পরিমাণ ৮৯৯ কোটি। এবার ২০২৪ আর্থিক বছরে তাদের লক্ষ্য ১৭,৫০০ কোটি টাকা। আগামী আর্থিক বছরে তাঁর লক্ষ্য ১১০০ কোটি লাভ করা। গোটা বিশ্বে তাঁদের ১৬০টি শোরুম রয়েছে। তার মধ্যে ভারতেই রয়েছে ১০০টি।
উত্তর ভারতে তিনি ব্যবসা বাড়াতে চাইছেন। ভারতে সব মিলিয়ে ১৩০টি শোরুম খুলতে চাইছেন তিনি। ভারতে ৩০টি ও ভারতের বাইরে ১০টা শোরুম খুলতে চাইচে এই সংস্থা। সব মিলিয়ে এতে খরচ হতে পারে ২৪০০ কোটি টাকা।
চেন্নাইতে তাঁদের সোনার দোকানটি বিশ্বের সবথেকে বড় সোনার অলঙ্কারের রিটেল আউটলেট তকমা পেয়েছে।
একাধিক ক্ষেত্রে ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নিয়েছে এই সংস্থা। ভারতের অলঙ্কার ব্যবসায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হল এই জয়ালুক্কাস।
এদিকে ২০২২ সালের অর্থবছরের তথ্য বলছে ভারতের অলঙ্কারের বাজারের ৩৮ শতাংশ সংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ছে। তবে ২০২৬ আর্থিক বছরে এটা ৪৭ শতাংশ হতে পারে।
এবার সংক্ষেপে এই সংস্থার পরিচয়টা জেনে নিন।
আলুক্কাস জুয়েলারি নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে জয়ালুক্কাস। তবে এর উত্থান অত্যন্ত আকর্ষনীয়। ত্রিশূরে একেবারে একটা ছোট্ট জুয়েলারি ব্যবসা থেকে পথচলা শুরু করেছিল এই সংস্থা। এরপর ধাপে ধাপে উত্থান। সব মিলিয়ে এই সংস্থার হাতে এখন ১৬০টি শোরুম। ১১টি দেশে ছড়ানো রয়েছে তাদের শোরুম। দেশের মধ্যেও রয়েছে তাদের বহু শোরুম। বেশ নামী ব্র্যান্ড। প্রায় ৯০০০ কর্মী কাজ করেন তাঁদের সংস্থায়। খবর এএনআই সূত্রেও>
প্রায় ১ মিলিয়ন ডিজাইনের অলঙ্কার রয়েছে তাদের। প্রায় ১০ মিলিয়ন গ্রাহক তাদের রয়েছে। ফোর্বস তালিকায় দেশের সেরা ধনী স্বর্ণকার। আধুনিক প্রজন্মের কাছে বেশ পছন্দের এই ব্র্যান্ড। তবে তাদের এই উত্থান দেখে অবাক হয়ে যান অনেকেই।