পরিবর্তন আনা হল ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’র নামে। এবার থেকে এই মিউজিয়ামের নয়া নাম ‘প্রাইমিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’। কেন্দ্রের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরই 'নাম পরিবর্তন' বিতর্ক ফের একবার চর্চায় উঠে এল।
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তিনি এক ঝোড়ো পোস্টে মোদীর প্রতি বার্তায় লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে নেহেরুর বিশাল অবদান এবং ভারত ও দেশের গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বৈজ্ঞানিক ও উদার ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর (নেহরুর) অসামান্য কৃতিত্বকে কখনওই কেড়ে নিতে পারবেন না।’
'নেহরু ও নেহরুভিয়ান পরম্পরা'কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবার ‘অস্বীকার করা, বিকৃত করা, মানহানি করা এবং ধ্বংস’ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগের সুর চড়া করেছেন জয়রাম রমেশ। তাঁর দীর্ঘ পোস্টে নেহরু মিউজিয়ামের নাম বদল নিয়ে ক্ষোভ কার্যত উগরে দিয়েছেন দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। এর আগে, দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসে এই নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করেন নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি-র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এরপর টুইটার (এক্স হিসাবে বর্তমানে পরিচিত) হ্যান্ডেলে মিউজিয়ামের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান টুইট করে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ওই নাম ‘১৪ অগস্ট পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।’ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের সময়কাল থেকে ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’র নাম পাল্টে ‘প্রাইমিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি’ করা হয়েছে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ।
রমেশ তাঁর টুইটে লেখেন, ‘আজ থেকে এক অতিপরিচিত প্রতিষ্ঠান নতুন নাম পয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (NMML) আজ থেকে প্রাইমমিনিস্টার্স মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি PMML নাম পেয়েছে।’ এরপরই জয়রাম রমেশ লেখেন,'মিস্টার মোদীর মধ্যে ভয়, জটিলতা এবং নিরাপত্তাহীনতার এক বিশাল মণ্ড রয়েছে বিশেষ করে তা দেখা যায় আমাদের প্রথম ও দীর্ঘ মেয়াদকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গে। নেহরু এবং নেহরুভিয়ান উত্তরাধিকারকে অস্বীকার করা, বিকৃত করা, মানহানিকর করা এবং ধ্বংস করা তাঁর একক পয়েন্ট এজেন্ডা। তিনি N মুছে ফেলেছেন এবং এর পরিবর্তে P বসিয়েছেন। সেই Pটি pettiness এবং peeve-র জন্য।'