ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়তে চিনকে কড়া বার্তা আমেরিকার। শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিং। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর পর এই প্রছম চিনা-আমেরিকা সর্বোচ্চ স্তরে বৈঠকে বসল। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতা একে অপরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন এদিন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এই বৈঠকের বিষয়ে বলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিনের জিনপিংকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। পুতিনের প্রতি বেজিংয়ের 'সমর্থন' এবং রাশিয়ার আক্রমণের 'নিন্দা' না করার নিয়ে চিনকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর জবাবে নাকি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জো বাইডেনকে বলেন যে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব কারও স্বার্থে নয় এবং বিশ্ব শান্তির জন্য ওয়াশিংটনকে অবশ্যই যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে। চিনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।’
এদিকে বাইডেনকে জিনপিং এদিন বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি জন্য বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক শক্তির সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ এদিকে দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপের আগে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে চিনকে তাদের পদক্ষেপের দায়ভার বহন করতে হবে এবং আমরা এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধা করব না।’ এই ‘হুঁশিয়ারি’র আবহেই বৈঠকে জো বাইডেন বোঝার চেষ্টা করেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠতা ঠিক কতটা।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন আগ্রাসনের জন্য পুতিনের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে চিন। ওয়াশিংটনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে বেজিং মস্কোকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিতে পারে। এই আবহে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চিনের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে তাদের সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধ থেকে বিরত করে চিন। এর আগে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেল সালিভান এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিক কথা বলেছিলেন ইউক্রেন প্রসঙ্গে। এরপরই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট কথা বললেন একে অপরের সাথে।