চলতি বছরের শেষেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে হিমাচলপ্রদেশে। তার আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা জানালেন যে হিমাচলে বিজেপির বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে থেকে ১৫ শতাংশ আসন্ন নির্বাচনে টিকিট পাবেন না। এদিকে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের রদবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য নড্ডা জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীকে বদল করা হবে না হিমাচলে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের প্রশংসাও করেন। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভালো কাজ করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি আগামী নির্বাচনে লড়বে।’ উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাত, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ডের মতো একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল হওয়ায় হিমাচল নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা।
জেপি নড্ডা বলেন, ‘দল পার্বত্য রাজ্যে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’ এদিকে হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনে বরাবরই কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার আম আদমি পার্টিও রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করছে। এই আবহে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া দাবি করেছিলেন যে জয় রাম ঠাকুরের জায়গায় কেন্দ্রীয় সম্প্রচার ও তথ্যমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে সেই দাবির দুই দিন পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয় রাম ঠাকুরের প্রশংসা করলেন।
এদিকে দলের মধ্যে ঝগড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, নড্ডা সংক্ষেপে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি।’ এরপর সরকার ও সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার জন্য রাজ্যে দলের প্রধান সুরেশ কাশ্যপ এবং মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরের প্রশংসা করেন নড্ডা। তিনি বলেন, ‘সরকার এবং সংগঠন উভয়ই ভালোভাবে কাজ করছে।’