গত ২২ জানুয়ারি অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে একটি স্ত্রী গণ্ডারের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। কেএনপির আগোরাতোলি রেঞ্জের মাকলুং ফরেস্ট ক্যাম্পে পাওয়া ওই মৃতদেহ। এবার আবারও সেই একই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।শনিবার অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের টাইগার রিজার্ভের কাছাকাছি কোহোরা রেঞ্জে একটি গণ্ডারের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এই দ্বিতীয় মৃতদেহটিও একটি স্ত্রী গণ্ডারের। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান, বাঘের আক্রমণেই প্রাণ হারিয়েছে গণ্ডার। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলেননি তাঁরা। রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন। গণ্ডারটি বেশ বয়স্ক ছিল। পর্যটন সাফারি রুট থেকে কয়েক ধাপ দূরে রেঞ্জের মোনা বিলের কাছে মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভের ডিরেক্টর সোনালি ঘোষ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়াও সোনাবির কথায়, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে, মনে করা হচ্ছে যে গণ্ডারটি বাঘের আক্রমণের কারণেই মারা গিয়েছে। তবে নিশ্চিত করার জন্য আমরা ময়নাতদন্ত করছি। মৃত গণ্ডারের শিং অক্ষত ছিল, যা থেকে বোঝা যায় যে এটি শিকারের ঘটনা নয়।’
তদন্তে মৃতদেহের কাছে সম্ভাব্য বাঘের পায়ের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। তাই বাঘের আক্রমণ বলেই মনে করা হচ্ছে। চোরাশিকারীর হামলায় মৃত্যুর সম্ভাবনা কার্যত নেই। এ প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা বলেছেন, 'সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে চোরাশিকারীদের কার্যকলাপ হ্রাস পেয়েছে এবং এর ফলে অসমের বনে গণ্ডার এবং অন্যান্য প্রাণীরা এখন নিরাপদ।'
কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে কাজিরাঙা এবং অসমের অন্যান্য অংশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা খাবারের তাগিদে মোষ এবং গণ্ডারের মতো অন্যান্য প্রাণীদের আক্রমণ করছে। এছাড়াও অনেক সময় সঙ্গমের সময় বৃদ্ধ স্ত্রী গণ্ডার গুরুতরভাবে আহত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। বাঘ এবং অন্যান্য প্রাণী এই ধরনের আহত গণ্ডারদেরই আক্রমণ করে থাকে।