বরিস জনসনের পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ের টানটান উত্তেজনার মধ্যেই গ্র্যান্ড ফিনালে পর্যন্ত লিজ ট্রাসকে সমানে প্রতিযোগিতা দিয়ে গিয়েছেন ঋষি সুনাক। শেষ পর্যন্ত যাবতীয় জল্পনার যবনিকা পতনের পর লিজ ট্রাস জিতে নিলেন এই লড়াই। প্রত্যাশা মতই তিনি এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট, ৮১, ৩২৬।
উল্লেখ্য, লিজ এই পদে জয়ের পর ব্রিটেনের বুকে তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন। তাঁর আগে থেরেসা মে, ও মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এই জয়ের পর ব্রিটেনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট আপাতত ট্রাসের ঠিকানা হতে চলেছে। এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে গ্র্যান্ড ফিনালের অংশে প্রথম থেকেই পিছিয়ে ছিলেন ঋষি সুনাক। ‘ইনফোসিস’ এর প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি ছিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন চ্যান্সেলার। সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এককালের স্নেহধন্য সুনাকই একটা সময় বরিসের প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ রাজনীতির মাঝেই এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে নিয়েও জল্পনার পাহাড় দেখা যায়। ঋষি যদি এই ভোটে জয়ী হতেন তাহলে তিনি ব্রিটেনের প্রথম এমন প্রধানমন্ত্রী হতেন যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সেসব দিন চলে গিয়েছে যখন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বিদেশ নীতিতে প্রভাব ফেলত: জয়শঙ্কর
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, ঋষি সুনাকের সমর্থনে ভোট পড়েছে ৬০,৩৯৯টি। তবে প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তন ফরেন সেক্রেটারি লিজ ট্রাস ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসলে ঋষি সুনাকের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হতে পারে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তাহলে কি সুনাককে ট্রাসের মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে? যদিও এই প্রশ্নে আগেই ঋষি নেতিবাচক ইশারা করেছেন। তবে এবার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে গোটা ব্রিটেন।