সপ্তাহান্তেই খুব সম্ভবত প্রকাশ করা হবে সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ। তার আগে মানুষের মন জয় করার শেষ সুযোগ হাতছাড়া করল না মোদী সরকার। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম দুই টাকা করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর পরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দাম পরিবর্তন করল। তেল মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে পাম্পে পাম্পে এই সংশোধিত দামে পাওয়া যাবে পেট্রোপণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীরা দাম কমানোর দাবি করছিলেন, অবশেষে সেই পথেই গেল সরকার।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই গ্যাসের দাম কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহিলা দিবসের উপহার বলে প্যাকেজ করে ১০০ টাকা করে গ্যাসের দাম কমানো হয়েছিল কয়েক দিন আগেই। তখন থেকেই আশা ছিল যে পেট্রোল ও ডিজেল, সেগুলির দামও হয়তো কমানো হবে। ভোটে কাঠি পড়ার ঠিক আগে শেষ লগ্নে এসে সেই সিদ্ধান্ত নিল সরকার। পেট্রোলের দাম দিল্লিতে এখন হল ৯৪.৭২ টাকা। অন্যদিকে এক লিটার ডিজেলের দাম রাজধানীতে হল ৮৭.৬২ টাকা।
অন্যদিকে কলকাতায় পেট্রোল হবে ১০৪.০৩ টাকা। ডিজেলের দাম হয়েছে ৯০.৭৬ টাকা। প্রসঙ্গত, ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেলে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। তখন আর কোনও সরকার এরকম জনমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। অন্যদিকে রাজস্থানে বিজেপি সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছে ২ শতাংশ করে। এতেও কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা সাধারণ মানুষ।
রাজস্থানের ট্রেন্ড দেখে অন্য বিজেপি শাসিত সরকারগুলিও ভ্যাট কমায় কিনা, সেটা দেখার। তবে সেটা হলে রাজ্যের রাজস্বের ওপর টান পড়বে। সেই কারণেই হয়তো কিছুটা দ্বিধায় থাকবে অনেক মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এর আগে একসঙ্গে দাম কমানোর ঘটনা হয়েছে। বাংলার মত বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি কি স্ট্র্যাটেজি নেয়, সেদিকেও নজর থাকবে। বাংলায় যদিও বাজেটে একাধিক ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপরেও ধাপে ধাপে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি তৃণমূল। তাই এবারও সম্ভবত তার অন্যথা হবে না। বৃহস্পতিবারই দুজন নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছে সরকার। জল্পনা, শুক্রবারই হয়তো ঘোষণা হতে পারে ভোটের তারিখ, যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচন কমিশন এখনও কিছু জানায়নি।