শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে সদ্য, নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ গোয়েল। এরপরই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনের ৩ সদস্যের প্যানেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সেই প্যানেলে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুর নাম। প্যানেলের বৈঠকের পর এই দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।
যে প্যানেল এই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করে, সেই প্যানেলে পদ মর্যাদা অনুযায়ী থাকেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। তবে এই প্যানেলে নেই দেশের প্রধান বিচারপতি। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে নব গঠিত কমিটির এই বৈঠকই প্রথম। আর সেই বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের বহরমপুরের এই সাংসদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুর নাম নয়া নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বাছা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নাম নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। এখনও ঘোষণা হয়নি ভোট। তার আগেই গেয়েলের পদক্ষেপ নিয়ে বিপুল ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তিনি ইস্তফাপত্র পাঠানোর পর পরই তা গৃহিত হয় রাষ্ট্রপতির দ্বারা। এরপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে নির্বাচন কমিশনেপ অন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে। এদিকে, জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধুর নাম বেছে নেওয়া নিয়ে অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। কার্যত সরকারের দিকে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘নাম আগেই ঠিক করা হয়ে গিয়েছে, আমাকে শুধু ডাকা হয়েছে আনুষ্ঠানিকতার জন্য।’
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে জানানো হয়নি, কারা হতে চলেছেন পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার। তারই মাঝে যাবতীয় জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখনই অধীর চৌধুরী এই জুই নাম সামনে আনেন। প্রসঙ্গত, এবার দেখার পালা, যে অধীরের তরফে বলা এই দুই ব্যক্তিত্বই কি শেষমেশ হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার? এদিকে, শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে, বিজেপি তার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূল ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডের অবসর ও অরুণ গোয়েলের ইস্তফার পর নির্বাচন কমিশনারের পদ ছিল খালি। সেই পদে ২ টি নাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে বসে কমিটি।