মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলায় লাভ জেহাদের অভিযোগ এবার সামনে। লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, এক যুবক নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি অন্য ধর্মের। প্রেমের ফাঁদে সে এক হিন্দু তরুণীতে ফাঁসিয়েছিল। এরপর সে দিনের পর দিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে পাঁচ মাস ধরে গর্ভবতী হয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তার গর্ভপাত করানো হয়। এরপর সেই ভ্রুণকে পুঁতে দেওয়া হয়। পরে ওই তরুণী জানতে পারেন আসলে ওই যুবক মুসলিম সম্প্রদায়ের। এরপরই তিনি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
পুলিশ তদন্তে নেমে যুবককে গ্রেফতার করে। মাস ছয়েক আগে সলমন নামে ওই যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। এরপর তার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক করে। পরে ওই তরুণী জানতে পারে ছেলেটি আসলে মুসলিম। এরপরই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রতিবাদ করতেই মেয়েটিকে মারধর করে ওই যুবক। এরপর তার গর্ভপাত করিয়ে ফেলা হয়।
কিন্তু গোটা ঘটনা ওই তরুণী পরিবারকে জানান। এরপরই তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলা রুজু করে। পরে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইতিমধ্য়েই মাটি খুঁডে ভ্রুণটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের লাভ জেহাদের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে কেন ওই যুবক ধর্ম লুকিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।