কলকাতা পুরসভার নির্বাচন আগামী ১৯ ডিসেম্বর। তার আগে গোয়া সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এমন কী ঘটল যে ঝটিকা সফরে গোয়া যেতে হচ্ছে? ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। তাই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রচারের ভার দলের নেতাদের উপর দিয়ে গোয়া যাচ্ছেন তাঁরা। দু’দিনের সফরে ১৩ ডিসেম্বর গোয়ায় যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।
গত অগস্ট মাস থেকেই এখানে সংগঠন সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এখানের বেশ কয়েকজন নেতা–নেত্রী থেকে বিশিষ্ট মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো–কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন। আবার লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী গোয়া গিয়ে সংগঠন বৃদ্ধির বার্তা দিয়েছিলেন। অথচ মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী গোয়ায় গিয়ে ফরওয়ার্ড পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ঘোষণা করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই এই ঝটিকা সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গোয়া যাবেন ধরে নিয়েই প্রচার সূচি তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ৭ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় প্রশাসনিক সভা করার কথা তাঁর। তারপরে যাবেন গোয়ায়। সেখানে কথা হবে এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও–এর সঙ্গে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সফরেই তিনি যোগদান করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এবার গোয়া সফরে গিয়ে একটি টিম তৈরি করে দেবেন তাঁরা। যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করবেন। আবার সংগঠনের কাজ কারা দেখবেন। প্রচার কমিটিতে কারা থাকবেন, এমনকী কলকাতা থেকে কোন কোন সাংসদ–বিধায়ককে এখানে ফেলে রাখা হবে তাও ঠিক করে দিয়ে আসবেন মমতা–অভি্ষেক। পাশাপাশি মোটামুটি একটা প্রার্থী তালিকা তৈরি করে দিয়ে আসবেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।