লক্ষ্য ছিল হাসিকে আরও সুন্দর করে নেওয়ার। সেই লক্ষ্যে বিয়ের আগেই তোড়জোড় শুরু করেছিলেন ২৮ বছরের লক্ষ্মীনারায়ণ বিনজম। সামনেই ছিল তাঁর বিয়ে। বিয়ের পর নিজের নববিবাহিত স্ত্রীকে সুন্দর হাসি উপহার দিতেই চলছিল প্রস্তুতি। ২৮ এর যুবক ছিলেন ‘স্মাইল ডিজাইনিং’ পদ্ধতির মধ্যে। তবে সেই পদ্ধতির মধ্যে থেকে সার্জারির সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে অবস্থিত এফএমএস ডেন্টাল ক্লিনিক-এর থেকে ‘স্মাইল ডিজাইনিং' নিয়ে পরামর্শ নিচ্ছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ বিনজম। সামনেই ছিল তাঁর বিয়ে। বিয়ের আগে নিজেকে আরও সুন্দর করে নিতে এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই আসে তাঁর সার্জারির পালা। আশা করেছিলেন, সেই সার্জারি মিটে গেলেই তাঁর হাসি আরও সুন্দর হবে। তবে অদৃষ্টে ছিল অন্য কিছু! লক্ষ্মীনারায়ণ বিনজমের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে অপারেশনের সময়ই অচৈতন্য করার যে ওষুধ দেওয়া হয়, তা অত্যধিক পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই লক্ষ্মী নারায়ণের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে, করুণ আর্তনাদে ২৮ এর যুবকের গোটা পরিবার। যে সন্তানের বিয়ের জন্য বাড়িতে চলছিল তোড়জোড়, সেখানে তাঁর মৃত্যু সংবাদে রীতিমতো শোকের ছায়া পরিবারে। এদিকে লক্ষ্মীনারায়ণ বিনজমের বাবা রামুলু বিনজম বলছেন, তাঁর ছেলে সার্জারির সময়ই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান। তারপরই লক্ষ্মী নারায়ণের বাড়ির লোকজনকে ডাকা হয়। মৃতের বাবা বলছেল, ‘আমরা তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাই, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
লক্ষ্মীনারায়ণেপ পরিবারের দাবি, তাঁর ছেলের কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল না, তার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকরা দায়ী। পুলিশ বলছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা চলে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা তাঁর বাবাকে ফোন করেন এবং তাঁকে জুবিলি হিলসের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্মীনারায়ণ এক সপ্তাহ আগে বাগদান করেছিলেন এবং আগামী মাসে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আপাতত হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি সিসিটিভি ফুটেজও তাঁরা খতিয়ে দেখবে। এদিকে, এফএমএস ইন্টারন্য়াশনালের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য বলছে, ৫৫ টি পুরস্কার প্রাপ্ত এই ক্লিনিক ২০১৭ সাল থেকে কার্যকরি।