শোভিত গুপ্তা
গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব রবিবার জানিয়েছেন, প্রেম করে বিয়ের ক্ষেত্রে যাতে বাবা মায়ের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয় সেব্যাপারে তাঁর সরকার এবার একটি সিস্টেম তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। গুজরাটের মহাসেনাতে সর্দার পটেল গ্রুপের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য়মন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিয়ের জন্য মেয়েরা পালিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে এবার বাবা মায়ের সম্মতিটা খুব প্রয়োজন হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঋষিকেশ পটেল আমাকে বলছিলেন বিয়ের জন্য মেয়েরা সব পালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের, অভিভাবকদের সম্মতি বাধ্য়তামূলক করা যায় কি না সেটা দেখা দরকার। যদি সংবিধান এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করে তবে এনিয়ে আমরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখব। যাতে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যায় সেটা আমরা চেষ্টা করে দেখব।
তবে ইতিমধ্য়েই বিরোধী কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান খান্ডেওয়ালা জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের কোনও ভূমিকা থাকে না, তবে এবার সরকার চিন্তাভাবনা করছে যাতে এটি নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সিস্টেম তৈরি করা যায়। যাতে সাংবিধানিকভাবে বিষয়টি ঠিকঠাক হয়।
তবে অনেকের মতে, সাধারণত প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে অনেকে পালিয়ে গিয়ে, বাড়ির সম্মতি ছাড়াই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাবা মায়ের সম্মতির জন্য় অপেক্ষা করতে হলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে। বা আদৌ বাবা মায়েরা সেই বিয়েতে সম্মতি দেবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
তবে গুজরাট সরকার এর আগে ২০২১ সালে গুরজাট ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অ্যাক্টের সংশোধনী আনে। বিয়ের মাধ্য়মে যদি জোর করে ধর্মান্তরিতকরণের চেষ্টা করা হয় তবে সেটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট এই আইনের কিছু ধারায় স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে সেটা আবার সুপ্রিম কোর্টে যায়। তবে নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।