শুক্রবার ছিল প্রধানপদে শপথ নেওয়ার দিন। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে মাওবাদীরা বের করেছিল বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্য পরমানন্দ টুডুকে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলার নলিটা কেটে দেয় মাওবাদীরা। অভিযোগ এমনটাই। বিহারের মুঙ্গের জেলার আজিমগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটাল মাওবাদীরা? স্থানীয় সূত্রে খবর এবার পরমানন্দকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বারণ করেছিল মাওবাদীরা। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে শুধু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াই নয়, ভোটে জিতেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান পদে শপথ নেওয়া হল না তাঁর। তার আগেই রক্তের হোলি খেলল মাওবাদীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রায় ৫০জন সন্দেহভাজন মাওবাদী রাতে গ্রামে জড়ো হয়েছিল। এরপর পরমানন্দকে টেনে হিঁচড়ে বের করে। সঙ্গে চলতে থাকে স্লোগান। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলার নলি কেটে দেয় মাওবাদীরা। এদিকে সম্প্রতি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ধরহরা থানার আধিকারিক রোহিত কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তখনই তার মৃত্যু হয়।
বাসিন্দাদের একাংশের মতে, মাওবাদীরা বার বার সতর্ক করেছিল পরামানন্দকে। কিন্তু তিনি এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। ভোটে জিতেও যান তিনি। এদিকে জঙ্গিদের পছন্দের প্রার্থী হেরে যান ভোটে। এতে আরও রেগে যায় মাওবাদীরা। তাদের কথা না শোনার শিক্ষা দিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অ্যাডিশনাল এসপি কুণাল কুমার বলেন, মাও কমান্ডার সুরেশ কোডা পরমানন্দ টুডুকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।