আকাশ ঘোষ
৩৭ বছর বয়সী ফারাহ খান। অ্যাসিড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুখ। স্বামীই অ্যাসিড ছুঁড়েছিল তাঁর মুখে। এরপর জীবনটাই বদলে গেল। তবুও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তিনি বিউটি পার্লার খুলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তিনি বলেন, চোখেই লুকিয়ে থাকে সৌন্দর্য্য।
আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। তবুও আশা ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, একবার বেশি টাকা আয় করতে পারলেই আমি ভালো মানের মেক আপ কিট কিনব।
ফারাহ খানের মতোই আরও প্রায় ২০জন রয়েছেন যাঁরা অ্য়াসিড হামলার পরে বেঁচে ফিরে এসেছেন। তাঁরা বিউটা পার্লার খোলার ব্যাপারে স্বপ্ন দেখছেন। ইতিমধ্য়ে Cafeর ব্যবসাতেও ধাপে ধাপে সফল হচ্ছেন তাঁরা। Naturals এর সঙ্গে একটি ফাউন্ডেশনের মউ স্বাক্ষর হয়েছে। ওই অ্য়াসিড হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তারা প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা করবে।
Naturals সংস্থার নর্থ হেড দীপক কুমার জানিয়েছেন, আমরা রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। মোটামুটিভাবে ৬-৮ মাসের এই প্রশিক্ষণ হয়। এই ধরণের প্রশিক্ষণ নিতে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ফারাহ বলেন, মেক আপ করাটা নারীদের অনেকেরই শখ থাকে। কিছু বছর আগে আমিও মেক আপ করতাম। কিন্তু অ্য়াসিড ছুঁড়ে সেই মুখটাই নষ্ট করে দিয়েছিল আমার স্বামী। আংশিক পুড়ে গিয়েছিল আমার মুখ। আয়নায় আর মুখ দেখতাম না। কিন্তু দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে আমি ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। আমি অন্যান্যদের মতোই আজ মেক আপ করি। অন্যদেরও সাজাতে ভালোবাসি। পরিবারের সাত সদস্যের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন ফারহা। আমার হাসিই আমার সৌন্দর্য, বিজয়িনীদের টি শার্টে লেখা। ক্য়ামেরার সামনে জয় সূচক চিহ্ন দেখালেন রুপালি বিশ্বকর্মা, কুন্তি সোনি ও ফারহা খান।