1/14মন ভালো রাখাটা অত্যন্ত দরকারি। কারণ মনখারাপ বাড়িয়ে দিতে পারে বহু ধনের রোগের আশঙ্কা। কিন্তু মন ভালো রাখতে চাইলেই তো আর সব সময়ে রাখা যায় না। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বহু ধরনের হরমোনেরও। নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে সেগুলির উপরেও।
2/14মন ভালো রাখার পিছনে মূলত চারটি হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। এই হরমোনগুলির ক্ষরণে ভারসাম্য থাকলে, মন ভালো থাকে। এই চারটি হরমোন হল Dopamine, Serotonin, Oxytocin, Endorphins। কী করে এই চারটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখবেন? কী করে ভালো থাকবে মন? রইল হদিশ।
3/14১। রোজ অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে কাটান। এতে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকবে। তাছাড়া এর প্রভাবে serotonin এবং endorphins হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
4/14২। বন্ধুদের সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় দিনের কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এতে endorphin ক্ষরণের মাত্রা বাড়বে। তাতে মন ভালো হবে।
5/14৩। চিকিৎসকের পরামর্শে এমন কিছু খাবার বা সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন, যার ফলে এই ধরনের হরমোনগুলির ক্ষরণ বাড়বে। ঘরোয়া খাবারের মধ্যে দই খেতে পারেন। তাতেও লাভ হবে।
6/14৪। প্রিয় মানুষের সঙ্গে বা ভালোবাসার লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে রান্না করুন। এমন খাবার বানান, যেগুলি খেতে ভালোবাসেন। রান্না এবং খাবার খাওয়া— দুটোর যৌথ আনন্দ মন ভালো করে দেবে।
7/14৫। দিনের নির্দিষ্ট কিছুটা সময় গান শুনুন। গান মন ভালো রাখার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। এতে dopamine ক্ষরণ অনেকটা বাড়ে।
8/14৬। প্রতি দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। এতে endorphin হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। তাতে মন ভলো হবে।
9/14৭। মন ভালো রাখার অব্যর্থ দাওয়াই। অন্য কোনও কাজ করতে না পারলেও, রোজ কিছুটা সময় ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এতে dopamine হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। মন ভালো হবে।
10/14৮। মনখারাপের অন্যতম দাওয়াই হল প্রেম বা ভালোবাসা। এমন সম্পর্কে থাকলে oxytocin হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটি মনখারাপ কমিয়ে দেয়। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কাটান। তাতে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে।
11/14৯। যে ধরনের কাজ বা ঘটনা আপনাকে মানসিক চাপে রাখে, সেগুলি থেকে দূরে থাকুন। তাতে মেজাজ ভালো থাকবে। মন ভালো রাখার হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে।
12/14১০। মাসাজ বা মালিশ মন ভালো রাখার জন্য খুব কাজের। এতে serotonin, dopamine, endorphins এবং oxytocin— চারটি হরমোনেরই ক্ষরণ বাড়ে। নিয়মিত মাসাজ করানোর চেষ্টা করুন। এতেও মন ভালো থাকবে।
13/14১১। রাতে ভালো করে ঘুমোন। অন্তত ৭ ঘণ্টা। এতে আপনার শরীরে dopamine-এ ক্ষরণ বাড়বে। তাতে মনখারাপ অনেকটা কমে যাবে।