দেশে করোনা আক্রান্ত ২১ হাজারের বেশি। মারা গিয়েছেন ৬৮১ জন। লকডাউনের জেরে কার্যত স্তব্ধ অর্থনীতি। পরিযায়ী শ্রমিকরা গভীর সংকটে। এর পরেও লকডাউনের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে তিনি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তার জন্যে যে জনসমর্থন পাচ্ছেন, সেটি অন্য কোনও বিশ্বনেতা পাচ্ছে না। একটি সমীক্ষার রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন যে ভাবে মোদী দেশে করোনা মোকাবিলা করছেন ও বিশ্বের অন্য দেশদের সাহায্য করছেন, তাতে প্রতিটি মানুষই এখন তাঁর নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখছেন।
মর্নিং কনসাল্ট পলিটিক্যাল ইনটেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী মোদীর মোট গ্রহণযোগ্যতা সর্বদাই ৫০ শতাংশের ওপর থেকেছে। ১৪ এপ্রিল যেদিন প্রথম দফার লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল, সেদিন তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে ৭৫ শতাংশ হয়। অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ হাল জাপানের শিনজো আবের। তাঁর নেতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে লকডাউনের বাজারে। গ্রহণযোগ্যতা কমেছে ব্রাজিলের বোলসানারো ও ট্রাম্পের। তবে মাত্র দশ দেশের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের জেসিন্ডা অ্যার্ডের্ন, যিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও করোনা মোকাবিলাতেও বাহবা কুড়িয়েছেন, তিনি এই সমীক্ষায় নেই।
বুধবার রাতেই মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন করোনা মোকাবিলায়। তিনি বলেন যে আগে থেকে লকডাউন ঘোষণা করে ও আরোগ্য সেতুর অ্যাপের মতো তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মোদী দারুন কাজ করছেন ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই অসম লড়াইয়ে।