প্রতিবারই সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব পালন করে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এবারও তিনি দেশের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালির আসর কাটাতে পৌঁছলেন জম্মু ও কাশ্মীরে। সেখানে কার্গিলে সেনা জওয়ানদের নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন মিষ্টি। ভাগ করে নিলেন দীপাবলির আনন্দ।
এদিনে কার্গিলে নরেন্দ্র মোদী সেনা জওয়ানদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কার্গিলে মোদীকে দেখেই চলতে থাকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি। এরপর আয়োজিত হয় সঙ্গীতের আসর। যে সেনা জওয়ানরা দেশের প্রতিরক্ষায় হাতে বন্দুক ধরেন, তাঁরা এদিন হাতে তুললেন গিটার। কারোর হাতে মাইক্রোফোন। শুরু হল, ‘বন্দেমাতরম’। ততক্ষণে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঁড়িয়েছিলেন মঞ্চে। তাঁর পাশে থাকা সেনা জওয়ানরা ততক্ষণে সুর তুলেছেন ‘বন্দো মাতরম’ এর। হাতে তাল দিতে দিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গাইছেন ‘বন্দেমাতরম।’
প্রসঙ্গত, কয়েক দশক আগে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই গান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি আবেগের স্রোত বইয়ে দিয়েছিল। এরপর দেশ স্বাধীন হয় , তবুও বন্দো মাতরম গানের আবেগ একই থেকে যায়। পরবর্তীকালে বিভিন্নভাবে এই সুর দেশবাসীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। একটা সময় সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান এই সুরকে নতুন রূপ দেন। সেই সুরই কার্গিলে সেনা জওয়ানরা ধরে ছিলেন। যেখানে গলা মেলাতে দেখা গেল দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, এদিন কার্গিলের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী সাফ বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন’ করার ক্ষেত্রে কার্গিল দেখিয়েছে অনন্য উদাহরণ। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে মে থেকে জুলাই মাসে কার্গিলে পাকিস্তানি অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখে দিয়ে ভারত সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়। সেই ঘটনা দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে একটি বড় অধ্যায়।