বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য কড়া আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ প্রশাসন। কিছুদিন আগে দুর্গামণ্ডপে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ ফরিদুল হক খান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ধর্ম পালন করতে গিয়ে কোনওরকম হানাহানি মারামারি করা যাবে না।
দুর্গামণ্ডপে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে না হতে পারে, সেজন্য কিছু মানুষ সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। একটি গোষ্ঠী মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুঠপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের চিহ্নিতও করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা প্রক্রিয়া চলছে। দোষীদের বিচার যাতে দ্রুত করানো সম্ভব হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের সময়ে কোনওরকম হানাহানি, মারামারি বরদাস্ত করা হবে না।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের। এছাড়াও দুর্নীতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে দুর্গাপুজোর সময়ে বাংলাদেশে কুমিল্লা সহ একাধিক জায়গায় পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি একাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করছে আওয়ামি লিগ।