আজ, মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমপক্ষে ৬৫ জন পর্যটক নিয়ে ওড়িশার বালেশ্বরে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই ঘটে গেল বিপত্তি। কারণ বাস চালক হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় যাত্রীরা বিপাকে পড়ে যান। কারণ বাসটি সজোরে কোথাও ধাক্কা মারতে পারত। সেটা ঘটেনি ঠিকই। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে মাঝপথে আটকে পড়েন তাঁরা। বাস চালক ওড়িশার বালেশ্বরের একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বাস চালকের শরীর খারাপ লাগছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে অজ্ঞান হওয়ার আগেই বাসটি থামিয়ে দেন ওই চালক। ফলে বড় পথ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান বিপুল পরিমাণ যাত্রী। মৃত বাস চালকের নাম এসকে আকতার। তবে কলকাতা থেকে আসা যাত্রীরা বালেশ্বরের নীলগিরি এলাকার পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরে যাচ্ছিলেন। তখন চালক এসকে আকতারের হার্ট অ্যাটাক হয়। যাত্রীদের সাহায্যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাছাড়া সঠিক সময়ে বাসটি থামিয়ে দেওয়া এতগুলি যাত্রীর প্রাণ বাঁচল।
অন্যদিকে শুরুতে বাসটি ঠিকই চলছিল। কলকাতা থেকে বালেশ্বরে এসেও পৌঁছেছিল। কিন্তু পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরে পৌঁছতে পারেনি। যাত্রীদের সূত্রে খবর, বুকে ব্যথা থাকা সত্ত্বেও চালক অজ্ঞান হওয়ার আগে রাস্তার পাশে বাসটি থামিয়ে দেন। যাত্রীরা তখন স্থানীয়দের খবর দেন। আর সকলের সাহায্য নিয়ে চালককে নীলগিরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সবাই এখন ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। এমনটা যে তাঁদের সঙ্গে ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। বেশ কয়েকজন যাত্রী বলছেন, ‘করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন এটা মেনে নেওয়া কঠিন হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায় বহু পরীক্ষার্থী, বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে প্রধান শিক্ষকরা
এছাড়া যাত্রীদের সূত্রে খবর, হঠাৎ বাস থামলে অনেকে ভেবেছিলেন পর্যটকরা বিরতি চান। কিন্তু ভাল করে দেখার পর সকলে দেখতে পান চালক তার আসনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে যাত্রীরা চালককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা করা গেল না। কারণ ওই চালককে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন পাতাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি মিহির বেহেরা। মৃত বাসচালক পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দা। বাস চালকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ।