বাংলাদেশের কক্সবাজারের রামুতে শাশুড়িকে খুনের পর ৬ টুকরো করে উঠোনে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে। রবিবার মাটি খুঁড়ে মায়ের টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করেন ছেলে। এর পর খবর দেন পুলিশে। ঘটনায় নিহতের পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত বৃদ্ধার নাম মমতাজ বেগম। তাঁর ছেলে আলমগির বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে আমার স্ত্রীর বিবাদ চলছিল। তার জেরে শনিবার বিকেলে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রী। এর পর মাথা, হাত, পা দেহ থেকে কেটে বাড়ির উঠোনে গর্ত করে পুঁতে দেয়। আমি বাড়ি ফিরলে স্ত্রী জানান অশান্তির জেরে মা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘শনিবার রাত থেকে ফেসবুকে মায়ের ছবি দিয়ে আমি সন্ধান শুরু করি। রবিবার সকালে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে দেখি মাটি উঁচু হয়ে রয়েছে। খুঁড়তে তার নীচ থেকে বেরোয় মায়ের শাড়ি ও টুকরো টুকরো দেহ।’
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরায় শাশুড়িকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশেদা। জেরায় জানিয়েছেন, শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদ চলাকালীন তাঁকে দা নিয়ে আক্রমণ করেন তিনি। এর জেরে শাশুড়ির মৃত্যু হলে তাঁর দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে কলপাড়ে পুঁতে দেন।