মঙ্গলবার ২৬ বিরোধী দলের জোটের মিটিং বসেছিল বেঙ্গালুরুতে। আর সেই মিটিংয়ের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ নিঃসন্দেহে আসন সমঝোতা। সেই সমঝোতার ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কতটা তাদের একমত হতে পারে সেটাই এখন দেখার। মাত্র মিনিট দুয়েকের জন্য এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি জানিয়েছিলেন, এখন আমাদের রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতার দিকে এগোতে হবে।
এদিকে ইতিমধ্য়ে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, কংগ্রেস যতটা সম্ভব অন্য়দের জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তার মানে মোটামুটি এই ইঙ্গিত মিলেছে যে কংগ্রেস যতটা সম্ভব এই জোটের শরিকদলগুলিকে আসন ছেড়ে দেওয়ার রাস্তায় এগোবে।
অর্থাৎ আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে শর্ত মেনে অনেকটাই শিথিল হতে চাইছে কংগ্রেস। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই মিটিংয়ে উপস্থিত এক সিনিয়র নেতার কথায়, এই গোটা জোট প্রক্রিয়ায় সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ প্রায় সকলেই কমবেশি বিজেপির বিরুদ্ধে আদর্শের লড়াইতে নামতে চাইছেন।
এদিকে পরবর্তী সময় কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, এই জোট যে কোনও কাউকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরতে পারে। অথবা ভোটের আগেও নেতা হিসাবে বিবেচিত করতে পারে। আসলে যদি জোট ভোটে জেতে তারপরই ওই জোটের নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে আসবে।
সূত্রের খবর, মিটিং শুরুর আগে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বাংলার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়। মূলত পুরানো নানা স্মৃতি নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে কথাবার্তা হয় বলে খবর। এক তৃণমূল নেতার কথায় আসলে মূলত পুরানো দিনের নানা প্রসঙ্গে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে।এদিকে লালু প্রসাদ আবার জানিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলকে আক্রমণ করা উচিত নয় কংগ্রেসের। মূলত এই জোটের দিকে তাদের নজর দেওয়া দরকার।
অন্যদিকে লালু প্রসাদ নাকি ফের রাহুল গান্ধীর বিয়ের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। গত ২৩ জুন পাটনার মিটিংয়েও তিনি এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ফের তিনি সেই কথা তোলেন।
অন্যদিকে একাধিক নেতা মূলত বিজেপির হাত থেকে দেশকে কীভাবে বাঁচানো যায় সেই মতামত দেন। একাধিক নেতার মতামত , বিজেপি এখন এনডিএ জোটকে যথাযথ রাখতে উঠে পড়ে লেগেছে। আসলে বিরোধী জোট দানা বাঁধতেই টেনশনে পড়ে গিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে এনডিএর পলিসি বেকারত্বের দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে I.N.D.I.A-র D অক্ষরটি ডেমোক্র্যাটিক নাকি ডেভেলপমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ কাটেনি এখনও।