প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওয়ো হোটেলস অ্যান্ড হোমস প্রাইভেট লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রীতেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল। একই অভিযোগ উঠল ওয়ো-র ওয়েডিংস.ইন ব্র্যান্ড-এর সিইও সন্দীপ লোঢার বিরুদ্ধেও। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে ওয়ো।
গত সপ্তাহে ডেরা বসসি থানায় তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন চণ্ডীগড়ের ব্যবসায়ী বিকাশ গুপ্তা। তাঁর দাবি, অবৈধ ভাবে এবং অপরাধমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁকে দিয়ে জোর করে চুক্তিতে সই করিয়েছেন রীতেশ ও সন্দীপ।
২০১৯ সালে মণিমাজরায় গুপ্তার সংস্থা বিকাশ মিনারেল ফুডস লিমিটেড-এর সঙ্গে ওই চুক্তি সম্পাদন করে ওয়ো। ওই সংস্থারই মালিকানায় রয়েছে ডেরাা বসসিতে বিয়ের অনুষ্ঠানবাড়ি কাসা প্যালেস রিসর্টস। উল্লিখিত চুক্তির বলে ওই অনুষ্ঠানবাড়ি পরিচালনার ক্ষমতা পায় ওয়ো সমংস্থা।
ওই ব্যবসায়িক চুক্তির পরে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু কোভিড অতিমারীর জেরে জনসমাগম নিষিদ্ধ হওয়ায় ব্যবসায় লোকসানের আশঙ্কা ঘনায়। বিকাশ গুপ্তার অভিযোগ, আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ফাঁদে ওয়ো। গত ৩ মার্চ চুক্তি সই করার সময়কার এনওসি-সহ অন্যান্য নথিপত্র তাঁকে ফের জমা দিতে বলে আইনি নোটিশ পাঠায় রীতেশের সংস্থা।
নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য তাঁকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়, অন্যথায়চুক্তি বাতিলের কথাও নোটিশে উল্লেখ করা থাকে বলে জানিয়েছেন গুপ্তা। তাঁর দাবি, চুক্তি সই হওয়ার সময় ওই সব নথি তিনি জমা দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এর পরেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ো। শুধু তাই নয়, মেয়াদ ফুরানোর আগে চুক্তি বাতিল হওয়ায় তাঁর কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি টাকা দাবিও করা হয় বলে অভিযোগ গুপ্তার।
বিকাশ গুপ্তার আরও অভিযোগ, আইনি লড়াই চললেও এখনও কাসা ভিলাস রিসর্টস নামই ব্যবহার করছে ওয়ো এবং এ ভাবেই লোক ঠকিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের অগ্রিম বুকিং নেওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই নাম ব্যবহার করে বুকিং নিয়েছে ওয়ো।
বিকাশ গুপ্তার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সোমবার ওয়ো-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ওয়ো হোটেলস অ্যান্ড হোমস এবং ওয়েডিংস.ইন-সহ তার অধীনস্থ সমস্ত ব্যবসার ক্ষেত্রে ভেন্যু পার্টনারদের সঙ্গে সর্বদা উচ্চমাত্রার সততা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা মেনে চলা হয় এবং সকল অংশীদার, গ্রাহক ও কর্মীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হয়। নিজেদের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ভিত্তিহীন ও প্রচারমূলক অভিযোগ অস্বীকার করছে ওয়ো।’
রতেশ আগরওয়াল ও সন্দীপ লোঢার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।