সমালোচনার চাপে সংসদ ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। একই সঙ্গে ছাঁটা হল খাদ্য তালিকা। মেনু থেকে বাদ পড়ল না আমিশ পদ।
সংসদ ক্যান্টিনে সস্তার যুগ শেষ হল। ভরতুকি তুলে দেওয়ার পরে খাবারের দাম বাড়তে চলেছে সংসদ ক্যান্টিনে। সোমবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ঘোষণা করেন, ‘বাজেট অধিবেশনের দুই পর্বের মধ্যবর্তী সময়ে খাদ্যমূল্যের সংশোধিত তালিকা ঘোষণা করা হবে এবং আগামী মার্চ মাস থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।’
এর আগে ঠিক হয়েছিল, ৩১ জানুয়ারি বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই ক্যান্টিনে নতুন খাদ্যমূল্য চালু করা হবে। কিন্তু ঠাসা কর্মসূচির কারণে এই বিষয়ে সময় দিতে পারেননি লোকসভা অদ্যক্ষ। খাদ্য নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও প্যানেল গঠন না হওয়ায় বিষটি নিজেই দেখাশোনা করছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
গত ডিসেম্বরে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকে ক্যান্টিনে খাদ্যদ্রব্যের উপর দেওয়া ভরতুকির প্রসঙ্গ আলোচিত হয়। বৈঠকে ক্যান্টিনে কত ভরতুকি দেওয়া হয় এবং কত জন সাংসদ সেখানে খান, তা জানতে চান বিড়লা। তাঁকে জানানো হয়, ২০১৯ সালে মোট ১৭ কোটি টাকা ভরতুকি দেওয়া হলেও স্বল্প পরিমাণ সাংসদই সেখানে খাওয়াদাওয়া করে থাকেন।
কিছু দিন আগে হিন্দুস্তান টাইমসের এক সাক্ষাত্কারে অধ্যক্ষ জানান, ক্যান্টিনের খাদ্য তালিকা থেকে কিছু পদ বাদ দেওয়া হবে। চাহিদা কম থাকায় তালিকা থেকে কিছু পদ বাদ দেওয়ার কথা তিনি বলেন। তবে বহাল থাকছে সংসদ চত্বরে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ নিরামিশ থালি (৪০ টাকা) এবং চাপাটি (২ টাকা)।
নথি বলছে, সংসদ ক্যান্টিনে দেওয়া ১৭ কোটি টাকা ভরতুকির মধ্যে সাংসদদের পিছনে খরচ হয় মাত্র ২৪ লাখ টাকা। বাকি টাকার খাবার খান অতিথি, নিরাপত্তাকর্মী, সরকারি কর্মচারী ও সংসদে খবর সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকরা। অধিবেশন চালু থাকলে, সংসদ ক্যান্টিনে প্রতিদিন গড়ে ৪,৫০০ মানুষ পাত পাড়েন।
সংসদ ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে উত্তর রেলওয়ে। ভরতুকি তুলে নেওয়ার পরেও যতেষ্ট সস্তায় খাবার মেলে সেখানে। মসালা দোসার দাম এই ক্যান্টিনে পড়ে ২০ টাকা। মুরগির মাংসের কারি প্রতি প্লেটের দাম পড়ে ৫০ টাকা মাত্র।