সাময়িক বরাখাস্ত করার প্রতিবাদের সংসদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। সেই সময় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে নকল করে অঙ্গভঙ্গি করেন তৃণমূল সংসাদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অঙ্গভঙ্গির দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার জন্য উপরাষ্ট্রপতি ফোন করে গভীর 'সমবেদনা' প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাংসদের আচারণের নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপতিও।
উপরাষ্ট্রপতি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন,'মঙ্গলবার রাতে আমাকে প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন। তিনি সংসদ সংদস্যের নাটকীয় আচারণের জন্য গভীর বেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন তিনি নিজে গত বিশ বছর ধরে এই ধরনের অপমানের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তিনি ভাবতে পারেননি যে উপরাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক পদকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গ করা হতে পারে এবং তা করা হয়েছে সংসদ চত্ত্বরে বসে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
এর জবাবে যা বলেছেন উপরাষ্ট্রপতি তাও তিনি লিখেছেন। ধনখড় লিখেছেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, এ ধরনের আচারণ আমাকে আমার দায়িত্ব পালনে এবং সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলি ব্যবহারে বাধা দিতে পারবে না। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সে মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিব্ধ। কোন অপমানই আমাকে আমার পথ পরিবর্চন করাতে বাধ্য করতে পারবে না।’
(পডুন। সংসদ চত্বরে ধনখড়কে নকল করলেন কল্যাণ, রেকর্ড করলেন রাহুল, লজ্জার! বললেন উপরাষ্ট্রপতি)
এদিন সংসদ চত্ত্বরে ওই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দেন ধনখড়। এদিকে সংসদে এই ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খোলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, 'আমি কৃষক ছিলাম। একজন এমপি, চেয়ারম্যানকে নকল করছেন। অপর মেম্বার ভিডিয়ো করছেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করছেন। আপনারা অপমান করেছেন। আমার কৃষক পরিচিতকে অপমান করেছেন আপনারা।'
হতাশাজনক বললেন রাষ্ট্রপতি
সংসদ কমপ্লেক্সে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবশ্যই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, তবে তাদের অভিব্যক্তি মর্যাদা ও সৌজন্যের নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। এটি সংসদীয় ঐতিহ্য যা আমরা গর্বিত, এবং ভারতের জনগণ আশা করে যে তারা এটি বজায় রাখবে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।