ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে ৩ বছর বয়সি এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির পেরাগড়িতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিনের ঘটনার জেরে এলাকা যাতে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে তার জন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শহর জুড়ে প্রায় ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ অটোতে চাপিয়ে মহিলা যাত্রীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল চালক, ধর্ষণ করে খুন
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী ওই যুবক ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে শিশুকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এরপর সেখানে থাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরে তিনি মেয়েকে অভিযুক্তের বাড়িতে কান্নাকাটি করতে দেখেন। মেয়েটির বাবা অভিযোগ তোলেন যে অভিযুক্ত আলাদা সম্প্রদায়ের। এরপরেই কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জিমি চিরাম। তিনি জানান, দুপুরের দিকে ওই শিশুকে ধর্ষণের বিষয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ পৌঁছয়। শিশুকে উদ্ধার করে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটির বাবা একজন রিকশাচালক। প্রতিদিনকার মতো এদিনও তিনি সকাল ৯ টার দিকে কাজে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী, একটি শিশু কন্যা এবং নির্যাতিতা শিশুটি। অভিযুক্ত যুবক তাদের প্রতিবেশী। বাড়িতে সে ভাই এবং ভাগ্নের সঙ্গে থাকে। সে নিজেও একজন বিবাহিত। তার স্ত্রী এবং সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকে। নির্যাতিতার বাবা জানান, তার বড় মেয়ে বাড়ির বাইরে খেলছিল। তখন ক্যান্ডির লোভ দেখিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। ঘটনায় শিশুর গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে শিশুটি তার মাকে সব কিছু খুলে বললে তিনি তার স্বামীকে জানান ও পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
ডিসিপি জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ এবং পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । এদিকে, ধর্ষণের পর যুবক পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রায় ৩০ টিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যাচ্ছে, এদিন ধর্ষণের ঘটনার পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তবে সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।