এক বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে ১২ বছরের এক নাবালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। নাবালককে গ্রেফতারের পর তাকে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। বর্তমানে ওই শিশুর চিকিৎসা চলছে। ধৃত নাবালকের বিরুদ্ধে পুলিশ পকসো আইনের অধীনেও মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: রোজ রাতে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যেত গুরুদেব, তারপর 'ধর্ষণ,' গ্রেফতার পূর্ণানন্দ
নাবালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বুধবার রাতে। শিশু কন্যার পরিবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। তাদের অভিযোগ, শিশু কন্যার দিদি তাকে বোতলে দুধ খাওয়াচ্ছিল। সেই সময় প্রতিবেশী ওই নাবালক শিশুকন্যাকে নিয়ে যায়। সে শিশু কন্যার দিদিকে বলেছিল, তাকে ঘুরিয়ে নিয়ে চলে আসবে।
এরপর ছেলেটি শিশু কন্যাকে কাছাকাছি একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ওই সময় শিশুটির বাবা-মা বাইরে ছিলেন। পরে তারা ফিরে এসে দেখেন শিশুর গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তখন শিশু কন্যার দিদি তার মাকে জানায়, পরিচিত ওই কিছু সময়ের জন্য শিশুটিকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। তখনই তারা ওই নাবালকের কুকর্মের কথা বুঝতে পারেন। ঘটনায় তারা থানায় যান।
আলিগড়ের পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং গুণওয়াত বলেন, অভিযুক্ত নাবালক অপরাধ স্বীকার করেছে। তাকে আলিগড়ের একটি আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত ওই শিশুকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। নির্যাতিতা শিশু কন্যার বাবার অভিযোগ, নাবালক তাঁদের শিশুকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সেখানে ছিল। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যায় ওই নাবালক। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির আলিগড় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এদিকে, গত ২১ জুন বিশাখাপত্তমে একটি আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আশ্রমের প্রধানের বিরুদ্ধে। সুই ঘটনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আশ্রমে প্রধানকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, আশ্রমের প্রধান প্রায়ই তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করত। পঞ্চম শ্রেণির পড়া শেষ করার পর ওই কিশোরীকে আশ্রমে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে আশ্রমের কর্মীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর আরও অভিযোগ ছিল, আশ্রমের কর্মীরা সেখানে থাকা অন্যান্য কিশোরীদেরও যৌন নির্যাতন চালাত।