অরুণ কুমার
পটনা হাইকোর্টের নির্দেশ। এবার চাকরি খোয়াতে পারেন অন্তত শতাধিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণপর্ব শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা তাঁরা শেষ করতে পারেননি। আর তার জেরে এবার চাকরি যেতে পারে তাঁদের।
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর রবি প্রকাশ এনিয়ে সমস্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরকে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ব্য়াপারে হাই কোর্টের নির্দেশকে উল্লেখ করা হয়েছে। দফতর সূত্রে খবর, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন সেদিন থেকেই তাঁদের চাকরির নিয়োগের দিন ঠিক হবে। প্রশিক্ষণের আগে তাঁরা যে কয়েকদিন চাকরি করেছেন তা সার্ভিস বুকে অন্তর্ভূক্ত হবে না।
সমস্ত ক্ষেত্রেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নথিগুলি খতিয়ে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। ১৫দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের কাছ থেকে আসা প্রস্তাব নিস্পত্তির ব্যাপারেও বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গোটা দেশে প্রায় ১২ লাখ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে বিহারে রয়েছেন প্রায় ২.৪০ লাখ। ২০১৯ সালে এই হিসেব মিলেছিল। এদিকে কেন্দ্রের তরফে প্রথমে ২০১৫ সালে ডেডলাইন দিয়ে বলা হয়েছিল সমস্ত শিক্ষককেই প্রশিক্ষণের আওতায় আসতে হবে। এরপর কেন্দ্রের তরফে ফের ডেডলাইন দিয়ে জানানো হয়েছিল ৩১শে মার্চ ২০১৯ সালের মধ্যে সমস্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আসতে হবে।
এদিকে বর্তমানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম দফায় যারা ৩১ মার্চ ২০১৯ সালের মধ্যে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যারা ট্রেনিংয়ের জন্য় আবেদন করেছেন কিন্তু ট্রেনিং সম্পূর্ণ হয়নি। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিন্তু সার্টিফিকেট পাননি। আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল এখনও বের হয়নি।
অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি দীপক কুমার সিং জানিয়েছেন, হাইকোর্টের অর্ডার অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত কারা ট্রেনিং নেননি সেই তালিকাটি তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে শিক্ষাদফতর সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের জেরে বিহারে প্রাথমিক শিক্ষার মান অনেকক্ষেত্রেই নেমে গিয়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এদিকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিহারে শিক্ষকের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৬০০,০০০। বর্তমানে সেই সংখ্যাটি হল ৪.০০ লাখ। এদিকে বিহারেও বাংলার মতোই টেট সংক্রান্ত ব্যাপারে ক্ষোভ বিক্ষোভও রয়েছে।