ইন্দোরের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি ওষুধ প্রয়োগের প্রস্তাব ঘিরে শুরু হল তুমুল বিতর্ক।
কংগ্রেস ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি ইন্দোরের জেলাশাসক বা মধ্য প্রদেশ প্রশাসন দিতে পারে না।
এই বিষেয়ে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জবাব দেননি ইন্দোরের জেলাশাসক মনীষ সিং। তবে মধ্যপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব মহম্মদ সুলেমান জানান, ‘বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেব। তবে যত দূর জানি, এখনও পর্যন্ত মধ্য প্রদেশে কোনও ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
গত শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই সম্পর্কে খবর প্রচার করা হলে বিস্ময় প্রকাশ করে টুইটারে প্রতিবাদ জানান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে জেলাশাসক পতঞ্জলির ওযুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিগ্বিজয়। ইন্দোরবাসীকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য মধ্য প্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস নেতা।
বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অমূল্য নিধি। তাঁর মতে, ‘যে কোনও ওষুধ পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠিত আইন রয়েছে। একমাত্র ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন আবশ্যিক। সেই সঙ্গে প্রয়োজন নীতি কমিটির অনুমোদন। এ ছাড়া, যাঁর উপরে ওষুধটি প্রয়োগ করা হবে, তাঁর সম্মতি নেওয়াও প্রয়োজন। এর জেরে তাঁর কোনও ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণও দিতে হয়। কিন্তু ইন্দোরের ঘটনায় মনে হচ্ছে, কোনও রকম আইনেরই তোয়াক্কা করা হয়নি।’
পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি আচার্য্য বালকৃষ্ণ জানিয়েছেন, ‘সমস্ত নথিপত্র জোগাড়ের পরেই আমরা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাই হোক, পরীক্ষা আমরা করব না। তা সরকারই করবে। যে কোনও রকম সাহায্যের জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন। আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।’