কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র মাঝে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম কেড়েছেন রাহুল গান্ধী। এবার তাঁর সামনে প্রশ্নবাণ গেল তাঁর জীবনসঙ্গিনীকে নিয়ে। কেমন জীবনসঙ্গিনীকে রাহুল গান্ধী পছন্দ করবেন? রাজনীতির আঙিনা থেকে ক্রোশ দূরের এই প্রশ্ন কার্যত রাহুলের কাছ ছিল বাউন্সার। তবে তার যোগ্য জবাব তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী সাফ ভাষায় জানিয়েছেন, যে মহিলার মধ্যে তাঁর মা সনিয়া গান্ধী ও ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর গুণাগুণ রয়েছে, সেই মহিলাকেই তিনি জীবনসঙ্গিনী হিসাবে বেছে নেবেন। এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কি ইন্দিরা গান্ধীর মতো কাউকে নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসাবে বেছে নেবেন? রাহুল জানান শুধু ঠাকুমাই নন, তাঁর জীবনসঙ্গিনীর মধ্যে তাঁর ঠাকুমা ও মায়ের দুজনেরই গুণ থাকতে হবে। তিনি ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে বলেন, ‘আমার জীবনের ভালোবাসা ও আমার দ্বিতীয় মা’। রাহুল বিয়ের প্রশ্ন শুনতেই সোজা সাপ্টা কথা জানান, ‘আমি পছন্দ করব.. তাঁর নিজস্ব গুণ তো বটেই… তবে আমার মা আর ঠাকুমার গুণের মেলবন্ধন হলে ভালো।’ উল্লেখ্য, কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী পর্যন্ত এগিয়ে চলেছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। যাত্রা ইতিমধ্যে দিল্লি এসে পৌঁছেছে। তারই মাঝে কোভিডের অশনি সংকেত শুরু হয়েছে। তবে রাহুল বলছেন কাশ্মীর পৌঁছানো তাঁর লক্ষ্য। এদিকে, এই সাক্ষাৎকারে রাহুলকে সাইকেন চালানো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি সেই ইলেকট্রিক স্কুটার সম্পর্কে বলেন, ‘আমি একটি ইলেকট্রিক স্কুটার চালিয়েছি। তবে ইলেকট্রিক বাইক নয়। এই চিনা সংস্থাকে কি জানেন… মাউন্টেন বাইক ও সাইকেল রয়েছে ইলেকট্রিক মোটরের সঙ্গে। খুব আকর্ষণীয় ভাবনা, তবে তারা ভালো। ’
তবে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য তিনি চারচাকা গাড়িতে খুব একটা আগ্রহী নন। ওই সাক্ষাৎকারে রাহুল বলছেন, 'আমি গাড়িতে খুব একটা আকৃষ্ট নই। আমি মোটরবাইকেও আকৃষ্ট নই। তবে মোটরবাইক চালাতে ভালোবাসি। আমি গাড়ি সারাই করতে পারি, তবে এটা নিয়ে আমি খুব বেশি আগ্রহী নই। আমি তাড়াতাড়ি চলতে ভালোবাসি, আমি পছন্দ করি দ্রুত স্থলে, জলে , বাতাসে চলার ভাবনাকে।' তাঁর মতে, মোটর সাইকেলিং করার থেকে তিনি বেশি পছন্দ করবেন সাইকেলিং করতে। রাহুলকে ওই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, তাঁকে ‘পাপ্পু’ বলা নিয়েও। রাহুল বলেন, তাঁকে কেউ ‘ঘৃণা’ করলেও পাল্টা তিনি কাউকে ঘৃণা করেন না।