অশোক গেহলটের উত্তরসূরি কি হতে চলেছেন সচিন পাইলট? এই প্রশ্ন নিয়ে এখন ডামাডোল পরিস্থিতি রাজস্থানে। ইতিমধ্যেই গতকাল স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে গেহলট অনুগত ৮২ জন বিধায়ক নিজেদের পদত্যাগপত্র দেন। তবে তা এখনও গ্রহণ করা হয়নি। এরই মাঝে গেহলট শিবিরের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে একটি ‘শর্ত’ আরোপ করলেন বিধায়করা। তাঁদের দাবি, ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণার পরই যেন অশোক গেহলটের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে দিল্লিতে দলের হাইকমান্ড এই শর্ত মানতে নারাজ।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন বলেন, ‘পরিষদীয় দলের তরফে একটি রেজোলিউশন পাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয় দলের সর্বভারতী সভাপতিকে। এই আবহে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হলে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অশোক গেহলট নিজে। তাতে স্বার্থের সংঘাত দেখা দিতে পারে।’ এদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর অনুগামী কোনও বিধায়ক। এই আবহে অজয় মাকেন এবং মল্লিকার্জুন খড়গে দলের সব বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলছেন আজকে।
দিল্লিতে দলীয় হাইকমান্ডকে গেহলটের স্পষ্ট বার্তা, ‘বিধায়করা রেগে, আমার এখানে কিছু করার নেই।’ সূত্রের খবর, গতকাল রাতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গের সঙ্গে ফোনে কথা হয় গেহলটের। সেই সময় নাকি গেহলট জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। বিধায়করা রেগে আছেন। এদিকে বিধায়কদের দাবি, অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন গেহলট অনুগামীরা। তাঁদের বক্তব্য সংকটের সময় (সচিন পাইলটের বিদ্রোহ) যে ১০২ জন বিধায়ক দলের পাশে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে হবে।