গত ২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ গোটা দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওই দিন কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অফিসে হাফ ডে দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই দিনে কেরলের একটি সরকারি স্কুলের ছুটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেরলের শিক্ষা বিভাগ অবিলম্বে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কী কারণে ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
রামমন্দিরের প্রশ্নে বরাবরই উঠে এসেছে বহু বিতর্ক। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে রামের নামে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে বরাবর। ২২ তারিখের প্রাতিষ্ঠানিক ছুটি ঘোষণা নিয়েও সরব হয়েছিলেন বিরোধী শিবির থেকে বহু অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী। রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিন কেরলে ছিল না কোনও সরকারি ছুটি। তবে ওই দিন কুডলু শ্রী গোপালকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার ঘটনায় সরকারের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি, বিদ্যালয়ের দ্বারা ঘোষিত ছুটির তদন্ত করার জন্য জন শিক্ষা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তারা ছুটির জন্য একটি আবেদন জমা দিয়েছিল।
জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, আবেদনটি কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টি সম্পর্কে স্কুলের পরিচালন সমিতি জানিয়েছে যে, প্রধান শিক্ষকের কাছে স্থানীয় ছুটি মঞ্জুর করার কর্তৃত্ব রয়েছে এবং অন্য দিনে কাজের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ করার বিধান রয়েছে। বিতর্কিত ছুটি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, শিক্ষা বিভাগ ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদেন্তের রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এবং স্কুলগুলির হাতে থাকা বিদ্যমান ছুটির পদ্ধতিগুলি সংশোধনের প্রয়োজন কিনা, তা নির্ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অনেকে আবার পালটা প্রশ্ন করছেন, রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়েই এই বিষয়টিতে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।