অভিযোগ রয়েছে অনিয়মের জেরে। মঙ্গলবার কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ককে ৩.৯৫ কোটি ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে ১২.১৯ কোটি টাকার জরিমানা করেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। দুটি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক বিধিভঙ্গের অভিযোগ। এছাড়াও মঙ্গলবার দেশের কর্পোরেট মহলেও বেশ কিছু জায়গায় এসেছে বড়সড় ধাক্কা। বহু কর্পোরেট সংস্থায় এসেছে করের নোটিস ও সেই সম্পর্কিত মামলা।
মূলত, কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রয়েছে বহু অভিযোগ। পরিষেবা দানকারী এক সংস্থার বার্ষিক পর্যালোচনা না করতে পারা সমেত একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ব্যাঙ্কর বিরুদ্ধে। গ্রাহককে ফোন করার ক্ষেত্রে, নিয়ম মাফিক গ্রাহকদের সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে ব্যাঙ্কের ফোন করার কথা, সেই নিয়ম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে কোটাকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও চুক্তিতে উল্লিখিত শর্ত ভেঙে ঋণের সুদ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে কোটাকের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, ব্যাঙ্কের ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগও রয়েছে। এদিকে, আইসিআইসিআই ব্য়াঙ্কের বিরুদ্ধে আর্থিক নয় এমন কিছু প্রকল্প বিপণণের অভিযোগ রয়েছে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। আরবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, ২০১৯-২০ সাল ও ২০২০-২১ সালের মধ্যে কোটাক ও আইসিআইসিআই, এমন সংস্থায় ঋণ দিয়েছে, বা ঋণ দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যেগুলির পরিচালন পর্ষদে সদস্য হিসাবে রয়েছেন ওই ব্যাঙ্কেরই দুই ডিরেক্টর। এছাড়াও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে প্রতারণা মূলক তথ্য আরবিআইকে জানানোর ক্ষেত্রে উদাসীন হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর এই সব অভিযোগ মিলিয়ে ব্যাঙ্ককে জরিমানা করা হয়েছে।
( শ্রীভূমি:বোধনের আগেই ঠাকুর দেখার লাইনে দৌড়! দৃশ্য ভাইরাল)
এদিকে, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের পাশাপাশি মঙ্গলবার দেশের কর্পোরেট সেক্টরেও পর পর সংস্থা ধাক্কা খেয়েছে কর সংক্রান্ত ক্ষেত্রে। ডাবরকে ৩২০.৬ কোটি টাকার জিএসটি নোটিস পাঠানো হয়। তাদের জরিমানা ও সুদ দিতে বলা হয়েছে বলে খবর। বিধি ভঙ্গে শোকজ নোটিস আসতে পারে বলে খবর। এর আগে ডেল্টা কর্প সমেত বহু সংস্থাকেই বকেয়া করের নোটিস পাঠানো হয়। কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক যখন জরিমানার দায়ে বড় ধাক্কা খাওয়ার আগে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রাতেও এসেছে ১৯৪.৭৩ কোটির করের নোটিস। আর তা এসেছে আয়কর দফতরের তরফে। সেই মামলায় ট্রাইবুনালে রায় যায় মহিন্দ্রার পক্ষে। ওরপর সংস্থার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে গিয়েছে দফতরটি।