কর্ণাটকের গাদাগ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (জিআইএমএস)-এর ৩৮ জন মেডিক্যাল পড়ুয়ার একটি দল হস্টেল চত্বরে ইনস্টাগ্রাম রিল শ্যুট করেছিলেন বলে অভিযোগ। তারপরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবে দশ দিনের জন্য তাদের হাউসম্যানশিপ প্রশিক্ষণ বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
যে কলেজে পাঁচ বছর পড়াশোনা করেছেন সেখানে ইন্টার্নশিপের শেষ কয়েকদিন তাঁরা ইনস্টাগ্রাম রিলের জন্য নেচে সেটিকে স্মরণীয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীরা শুটিংয়ের জন্য হাসপাতাল চত্বরটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। যেখানে তারা প্রতিদিন কাজ করেন সেখানেই নেচে নেচে ইনস্টাগ্রামের রিলস। তারা এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'রিল ইট, ফিল ইট' ক্যাপশন দিয়ে শেয়ার করেছিলেন এবং এই ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়ে যায়।
ম্যানেজমেন্ট তৎক্ষণাৎ হাসপাতাল চত্বরে ভিডিওগুলি সম্পাদন ও রেকর্ডিংয়ের অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল। পড়ুয়ারা অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে এটি তাদের প্রাক-স্নাতক অনুষ্ঠানের অংশ।
জিআইএমএস-এর ডিরেক্টর ডঃ বাসবরাজ বোম্মানাহাল্লি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বলেছেন যে যেহেতু এটি কলেজ জীবনের শেষ পর্যায়, তাই তারা এই ভিডিওগুলি করেছেন। তবে হাসপাতাল চত্বরে এ ধরনের ভিডিও তৈরি করলে রোগীদের অসুবিধা হতে পারে। আমরা ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
এর আগে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে প্রি-ওয়েডিং ফটোশুট করার জন্য এক চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও বলেন, 'স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও কর্মী-সহ সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে সরকারি চাকরি বিধি মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারি হাসপাতালে যাতে এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সব স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।