ফারিয়া ইফতিকার
৩৩জন শিক্ষাবিদ টেক্সটবুক ডেভেলপমেন্ট কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানালেন। এদিকে দিন দুয়েক আগেই NCERT'র দুজন প্রাক্তন পরামর্শদাতা যোগেন্দ্র যাদব ও সুহাস পালশিকার নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার তাঁদের সেই পথেই হাঁটলেন আরও ৩৩জন শিক্ষাবিদ। তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এনসিইআরটির পাঠ্যবই থেকে আমাদের নাম বাদ দিয়ে দিন।
এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ প্রসাদ সাকলানিকে লেখা চিঠিতে ৩৩জন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষাবিদ জানিয়েছেন, এনসিআরটি বর্তমানে পাঠ্যবই পরিবর্তন করছে। সেক্ষেত্রে একাধিক বাক্যকে মুছে দেওয়া হচ্ছে। চ্যাপ্টার থাকছে না। কিছু বিভাগ বাদ পড়ছে। বলা হচছে এটাকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না বলে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই মান্য়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এতে শিক্ষার মানকে খাটো করা হচ্ছে। আসল যে টেক্সট সেটা থাকছে না। সেকারণে এটা যে আমাদের বই সেটা ভাবতে ও আমাদের নাম এতে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের আপত্তি রয়েছে।
যাঁরা এতে সই করেছেন তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রতাপ ভানু মেহেতা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধিকা মেনন, জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির নিবেদিতা মেনন, প্রাক্তন জেএনইউ প্রফেসর রাজীব ভার্গব প্রমুখ।
শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে আমাদের নামগুলো মুছে দিন। টেক্সটবুক ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য হিসাবে যে নামগুলো আমাদের রয়েছে সেটা মুছে দিন। এনসিইআরটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই থেকে তাঁদের নাম মুছে দেওয়ার জন্য় তাঁরা আবেদন করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি একাধক বিষয় মুছে ফেলা হয়েছে পাঠ্যপুস্তক থেকে। বংশগতির থিওরি থাকছে না, মুঘল আমলের বিষয়গুলি মুছে ফেলা হচ্ছে,শিল্প বিপ্লব, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা, ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান, সহ নানা বিষয়ের অংশকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক থেকে। আর এসবের জেরেই ক্ষুব্ধ শিক্ষাবিদদের একাংশ।
তবে এনসিআরটির তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, টেক্সটবুক ডেভেলপমেন্ট কমিটি শুধু পাঠ্যপুস্তক তৈরি পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বই প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে সেই কপিরাইট এনসিইআরটির হাতে থাকে।
আর শিক্ষাবিদদের মতে, কতগুলি বই ছাপাবে সবটা NCERT হাতে থাকে এটা মানছি। কিন্তু যেমন খুশি বইয়ের অংশের বদল করে দেবে এটা হয় না। আর তারপর বলবে সেই বইয়ের যাবতীয় দায় ওই কমিটির ও মুখ্য উপদেষ্টাদের উপর রয়েছে, এটা বলা যায় না।