২০২২ প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে একাধিক ট্যাবলো আলাদা করে নজর কেড়েছে। কখনও থিম-ভাবনা, তো কখনও শিল্পনৈপূণ্যে আলাদা করে এক একটি ট্যাবলো মন জিতে নিয়েছে দর্শকের। তবে এবারের সমারোহে আলাদা করে নজর কেড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের ট্যাবলো। বিভিন্ন এলাকা তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরে যখন দিল্লির রাজপথে ট্যাবলো নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে, তখন জম্মু ও কাশ্মীরের ট্যাবলো যেন বার্তা দিয়ে গিয়েছে সেখানের পরিবর্তিত পরিস্থিতির।
২০১৯ সালের ৫ অগাস্টের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের আর্থ সামাজিক পট যেমন পরিবর্তিত হয়েছে, তেমনই তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেখানের রাজনৈতিক মানচিত্রেও একাধিক নতুন ছবি উঠে এসেছে। বিভিন্ন দিক দিয়ে ভূস্বর্গে নানান পরিবর্তন এসেছে। ঝিলাম তীরের সেই কাহিনিই সম্ভবত দিল্লির রাজপথে এদিন ফুটিয়ে তুলল জম্মু ও কাশ্মীরের ট্যাবলো। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলোর সামনের দিকে ছিল কাতরার মাতা বৈষ্ণোদেবী ভবনের প্রতিকৃতি। আবার ট্যাবলোর পিছনের দিকে তুলে ধরা হয় ভূস্বর্গের বুকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, এইমস, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রতিকৃতি। যেভাবে এই বিষয়গুলিকে ট্যাবলোতে রাখা হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, রক্তাক্ত অধ্যায় কাটিয়ে ভূস্বর্গ উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখছে , তাই যেন তুলে ধরা হয়েছে এই ট্যাবলোতে। সেখানে নবগঠিত চিকিৎসাকেন্দ্র, বিশ্বমানের বিমানবন্দর ও প্রযুক্তি শিক্ষাকেন্দ্রের নির্মাণই উপত্যকার ট্যাবলোর মূল ফোকাস হিসাবে উঠে আসে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি অংশে দুই ধরনের বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে সাধারণত। জম্মুকে মন্দিরের শহর বলে ধরে নেওয়া হয়। আর হ্রদ, উপত্যকা নিয়ে স্বপ্নসুন্দর প্রকৃতিকে বুকে আঁকড়ে রাখা কাশ্মীর পর্যটকদের কাছে ভূস্বর্গের সমান বলে পরিগণিত হয়। কাশ্মীরের গুলমার্গ থেকে সোনমার্গ, মুঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, মাতা ক্ষীর ভবানী, শঙ্করাচার্যের মন্দির আলাদা করে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এছাড়াও কাশ্মীরের নিজস্ব সংস্কৃতি, তাদের শিল্পকলা আরও বেশি নজর কাড়ে। তবে ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই সমস্ত কিছুর কোনওটাই সেভাবে ফোকাস হয়নি ট্যাবলতে। যা আলাদা করে নজর কেড়েছে, তা হল, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের ধারা। আর সেই দিক থেকে এই ট্যাবলো অনেকটাই আলাদা।